বিগত নির্বাচনগুলোতে বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াওয়ের কারণে ভরাডুবি হয়েছে। এবারও তাদের ভরাডুবি হবে। নির্বাচনে ভরাডুবির ভয়ে তারা নির্বাচনের বিরোধিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠে হরতাল ও অবরোধবিরোধী শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, বিএনপি কখনো গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় আসেনি। এজন্য তারা গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় আসা শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা গোলাম আজম, নিজামীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে প্রমাণ করেছে তারাই দেশের পরাজিত শক্তি।
তিনি বলেন, করোনা ও রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশের মানুষ সাময়িক অসুবিধায় আছে, তবে কেউ না খেয়ে থাকে না। শেখ হাসিনা সরকার মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে উন্নতি এবং ভূমিহীনদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। বিভিন্ন ভাতা দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ২৮ তারিখের পর তারা জনসাধারণের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের দফাও শেষ খেলাও শেষ। এখন আমাদের খেলা। ২৮ অক্টোবরের পর তাদের মাজা ভেঙে গেছে। মাজা ভাঙা বিএনপি আর সোজা হয়ে দাঁড়তে পারবে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-২ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, যে পরাজিত শক্তি একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে গণহত্যায় সহায়তা করেছে, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যায় সহায়তা করেছে। সেই পরাজিত শক্তি আবারও বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিকে বাধাগ্রস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের সমুচিত জবাব দিতে হবে।
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছর দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে সে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও ১৪ দলকে এবং নৌকায় ভোট দিতে হবে। যারা ’৭১ সালে দেশের মানুষের ওপর হায়েনাদের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তারাই আজ আবার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বলে জানান এ বাম নেতা।
১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ২৮ তারিখের পর বিএনপি-জামায়াত দেশে অরাজকতা শুরু করেছে। তারা বলছে, কোনো অবস্থায়ই নির্বাচন হতে দিবে না। কিন্তু আমরা নির্বাচন করতে প্রস্তুত এবং সে নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে।
তিনি আরও বলেন, ২৮ তারিখের পর তারা রাস্তায় নেই। আর যারা তাদের হয়ে সরকারকে ধমক দিত, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে যারা স্যাংশনের ভয় দেখাত তাদের সে বিদেশি প্রভু পশ্চিমা মিত্ররা আজ রাজনৈতিক দলের দরজায় দরজার ঘুরছে এবং বলছে শর্তহীন সংলাপের কথা। আমরা বলছি, তাদের একদফা দাবি পরিহার করতে হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জেপির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলিপ বড়ুয়া, গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি ড. শাহাদাৎ হোসেন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুকসহ ১৪ দলের নেতারা।
মন্তব্য করুন