রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহল ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সংলগ্ন ছাত্তার মেম্বার পাড়ায় পদ্মায় চর জেগেছে। সেখান থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে অবাধে তোলা হচ্ছে বালু। পরে ট্রাকে করে তা নেওয়া হচ্ছে অন্যত্র।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় বেলায়েত মণ্ডলের নেতৃত্বে এসব বালু তোলার পর ট্রাকে করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন অন্তত ১০০ ট্রাক বালু বিক্রি করা হচ্ছে। ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে বালু তোলায় ভাঙন ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
স্থানীয়রা বলেন, এলাকার প্রভাবশালী লোকজন পদ্মা নদীর চর থেকে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা বালু তুলছে। আমরা বাধা দিলে আমাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়। এমনিতেই আমাদের এ এলাকা ভাঙনকবলিত। এখন এই বালু তোলার কারণে আমরা আরও হুমকির মুখে আছি। বালুবাহী ট্রাকের ধুলায় আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। ঘরের খাবারের মধ্যে পর্যন্ত ধুলা পড়ে। ট্রাক চলার কারণে রাস্তা দিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বেলায়েত মণ্ডল বলেন, বালু তোলার জন্য প্রশাসনের কোন অনুমতি নেই। আমি জমির মালিকদের কাছ থেকে বালু কিনে অন্যত্র বিক্রি করছি।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হেসেন বলেন, পদ্মা নদীর চর থেকে বালু তোলার কোন অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে বালু তোলার কোনো সুযোগ নেই। বালু তোলা বন্ধে দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন