

খুলনায় বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তি দাবির কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) খুলনার নেতা ফাইজুল্লাহ ইকবাল শাকিলকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সংগঠনের মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা ইরা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শাকিল খুলনা মহানগর আপ বাংলাদেশের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
আপ বাংলাদেশ এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) খুলনা মহানগরীর যুগ্ম আহ্বায়ক ফাইজুল্লাহ ইকবাল শাকিলকে তার পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। সংগঠনের সর্বস্তরে শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আপস করা হবে না।
এর আগে, গতকাল বুধবার বিকেলে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট আয়োজিত মানববন্ধনে হামলা, মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র গণমঞ্চ, ছাত্র ইউনিয়, গণতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কয়েকজন নেতা আহত হন। এ সময় তাদের ব্যানারও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
হামলার পর ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায়, আপ বাংলাদেশের খুলনা মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়জুল্লাহ শাকিল হামলার জন্য তার কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করছেন। হামলার পর তিনি ব্যানার পুড়িয়ে দেওয়ারও নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এমনকি তিনি মারধরের ভিডিও নিজেদের ফেসবুক পেজেও আপলোড করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সাইফুল্লাহ শাকিল কালবেলাকে জানান, ঘটনার দিন তিনটায় খুলনার শিববাড়ি মোড়ে বামপন্থি সংগঠনের নেতাদের মানববন্ধন ছিল। একই দিন বিকেল ৫টায় বাউল আবুল সরকারের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমাদেরও পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। কিন্তু বামপন্থি ওই কর্মীরা তিনটায় প্রোগ্রাম না করে পাঁচটায় প্রোগ্রাম করার প্রস্তুতি নেয়। একই সময় দুটি সংগঠনের প্রোগ্রামে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এমন ধারণা থেকে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রোগ্রাম বন্ধের অনুরোধ জানাই। তাদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে বামপন্থি কর্মীরা আমাদের ওপর মারমুখী হয়ে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সামান্য সংঘর্ষ হয়।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমাদের একটি প্রোগ্রাম ছিল, তাই আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। তবে এ সংঘর্ষের সঙ্গে আমি জড়িত নই। এমনকি আমার ওপর যে সাংগঠনিক ছোট্ট শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাতেও আমি বিচলিত নই। আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার আগে আমার বক্তব্যও জানতে চাওয়া হয়নি।
খুলনা জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সজিব খান বলেন, আমাদের প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে ছাত্র-জনতার ব্যানারে ছাত্রশিবির, আপ বাংলাদেশ ও এবি পার্টির কর্মীরা হামলা চালায়।
মন্তব্য করুন