ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌর এলাকার শুড়া গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা শামীম মিয়া হত্যার ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। একটি মোবাইল ফোন কলের সূত্র ধরে পুলিশ বিপ্লব হোসেন নামের ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। বিপ্লব হরিণাকুণ্ডুর চটকাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে মসজিদে এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরেন শামীম মিয়া। তিনি রাতের খাবারও খান। এরপর তিনি একটি ফোন কল পেয়ে আবার বাড়ি থেকে বের হন। পরে শুড়া গ্রামের জেলা পরিষদের খালের পাড় ধরে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা তাকে খালের অপরপ্রান্তে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। পুলিশের ভাষ্য মতে, শামীমের মোবাইল ফোনে সর্বশেষ কলটি ছিল পুলিশের হাতে আটক বিপ্লবের।
হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, শামীম হত্যা নিয়ে পুলিশ অনেক দূর এগিয়েছে। খুব দ্রুত হত্যার মোটিভ উদ্ধার হবে। তিনি বলেন, ‘বিপ্লবকে মোবাইল ফোন কলের সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাকে এখনো গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। আশা করা যায়, হত্যার মোটিভ উদ্ধার এবং তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে খুনিদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে। নিহতের স্বজনরা লাশ দাফনে ব্যস্ত থাকায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি।’
এদিকে এ ঘটনায় হত্যাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাইদুল করিম মিন্টু।
মন্তব্য করুন