ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত অবকাঠামোগত তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। ঢাকাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে এ উপজেলায় আসার জন্য নদী পথে নৌকা বা ট্রলার ব্যবহার করতে হতো। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়ার জন্য কোনো সংযোগস্থল ছিল না। সেই উপজেলায় ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সালে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এ বি তাজুল ইসলাম। তার হাত ধরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বদলে গেছে উপজেলার দৃশ্যপট।
এই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, গ্রাম, পাড়া-মহল্লা পেয়েছে উন্নয়নের স্বাদ। শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব কিছুতেই এসেছে আমূল পরিবর্তন। কমেছে হয়রানি, জনভোগান্তি ও দুর্নীতি। এক সময়ের অবহেলিত উপজেলা এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই উপজেলাবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে গত ১৫ বছরে বাঞ্ছারমপুরজুড়ে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। বিশেষ করে ওয়াই আকৃতির সেতু ‘শেখ হাসিনা সেতু’ ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই উপজেলায়। ঢাকা-আগরতলা সড়ক নির্মাণকাজ চলছে। মেঘনা নদীতে তৃতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই সেতু নির্মাণ হলে ঢাকা-চট্টগাম ও ঢাকা-সিলেটের সঙ্গে দূরত্ব কমে আসবে।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, তিনি ১৫ বছরে বাঞ্ছারামপুরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। বদলে দিয়েছেন পুরো বাঞ্ছারামপুরের দৃশ্যপট। তার এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি দলমত নির্বিশেষে সব মহলেই প্রসংশা কুড়িয়েছেন।
এ বিষয়ে এবি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি এই উপজেলায় হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করেছি। যেখানে রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, স্কুল-কলেজ ছিল না সেখানে এগুলো নির্মাণ করে দিয়েছি। এশিয়ার একমাত্র ওয়াই সেতু যেটি প্রধানমন্ত্রীর নামে নির্মাণ করা হয়েছে। এই উপজেলা এখন উন্নয়নের রোল মডেল। সামনের দিনগুলোতে এবং অতীতের ন্যায় জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করছি।’
মন্তব্য করুন