দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২০ আসন ধামরাইয়ে মনোনয়ন জমা দিতে এসে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় স্বতন্ত্র ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে লিখিত ব্যাখ্যার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সংসদীয় আসন-১৯৩ ঢাকা-২০ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি ও ঢাকার নবাবগঞ্জ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ হরিদাস কুমার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, আপনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা বিভাগের অধীনে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার নির্বাচনী এলাকা ১৯৩ ঢাকা-২০ এর একজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। ৩০ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বহু কর্মী-সমর্থক সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র দিয়েছেন। যা আচরণবিধির লঙ্ঘন। বিষয়টি তিনটি সংবাদমাধ্যমে ( দৈনিক কালবেলা, প্রথম আলো ও রাইজিংবিডি) খবর প্রকাশ করা হয়েছে। যার লিংক নিচে সংযুক্ত করা হলো।
এতে জানানো হয়, খবর অনুযায়ী মোহাদ্দেছ হোসেন প্রায় ৫০০ জন কর্মী-সমর্থক ও খান মোহাম্মদ ইসরাফিল প্রায় ৫০ জন কর্মী-সমর্থককে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ভোট গ্রহণের দিনের প্রায় তিন সপ্তাহ আগে নির্বাচনী প্রচার করেছেন, যা নির্বাচন কমিশনের জারি করা নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৮ (খ) অনুচ্ছেদ এবং ১২ অনুচ্ছেদের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
চিঠিতে আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘনের কারণের লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে, ৩০ নভেম্বর দুপুরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকীর কাছে মনোনয়ন জমা দেন প্রার্থীরা।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ পাঁচজনকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে পারেন। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না।
তবে জাতীয় পার্টির (জিএম কাদের) মনোনীত প্রার্থী খান মোহাম্মদ ইসরাফিল প্রায় ৫০ জন ও ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন প্রায় ৫০০ কর্মী-সমর্থক নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। এ সময় সমর্থকরা নিজের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নানা স্লোগান দেন।
মন্তব্য করুন