জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। রোববার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম যাচাই-বাছাই শেষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২৬ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন। এ ছাড়া ঋণখেলাপির অভিযোগে জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক স্বাস্থ্য সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে গাজীপুরের ৫টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্রসহ মোট ৪৪ জন প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেন। তাদের মধ্যে মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামী লীগের বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যও রয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৪৪ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে রোববার গাজীপুর-১, গাজীপুর-২ ও গাজীপুর-৩ আসনের ২৭ জন প্রার্থীর দাখিল করা কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে এসব প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জনের প্রার্থিতা বৈধ এবং ঋণখেলাপির অভিযোগে জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। সোমবার গাজীপুর-৪ ও গাজীপুর-৫ আসনের প্রার্থীদের তথ্য বাচাই-বাছাই করা হবে।
এদিকে নির্বাচনে প্রার্থিতা বৈধতা ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় অবাধ ও সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করেন প্রার্থীরা। এ ব্যাপারে গাজীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল বলেন, এখন যিনি নৌকার প্রার্থী হয়েছেন তিনি উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করছেন। এজন্য এ আসনের জনগণ তাকে সাড়া দেবে না। নৌকাপ্রেমিক জনগণ তাদের সেই ক্ষত মনে রেখে আমাকে বেছে নেবেন।
গাজীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, গাজীপুর-২ আসনের মানুষ বিশেষত তরুণরা একটি অর্থবহ পরিবর্তন চায় । সেই জন্য তারা এবার আমাকে বেছে নিবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।
জাসদের প্রার্থী জহিরুল হক মন্ডল বলেন, গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে বিরোধ চরমে। তাই শান্তিপ্রিয় মানুষ জাসদকে বেছে নেবেন।
তৃণমূল বিএনপির আব্দুল জব্বার সরকার বলেন, যদি আমার এবং আমার কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়া হয় এবং সুষ্ঠু ভোট হয় তবে ৭ জানুয়ারি ভোটে নির্বাচিত হব বলে আমি আশাবাদী।
নির্বাচনের তপশিল সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। ৫ জানুয়ারি প্রচার শেষ করে ৭ জানুয়ারি ভোট। গাজীপুরের ৫টি আসনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ২৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২৯। তাদের জন্য মোট ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৩৫টি।
মন্তব্য করুন