যাচাইবাছাইয়ের শেষ দিনে সাতক্ষীরা ৩ ও ৪ সংসদীয় আসনে দাখিল হওয়া ১৪টি মনোনয়নপত্রের সবগুলোই বৈধ ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে সাতক্ষীরার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির মনোনয়পত্র যাচাইবাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন।
এর আগে রোববার (৩ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা ১ ও ২ আসনের ২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে সাতক্ষীরার ৪টি আসনের মোট ৩৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হলো।
এম মধ্যে সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে ১২ জন প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত ফিরোজ আহমেদ স্বপন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত প্রার্থী মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এস এম মুজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ দিদার বখত, তৃণমূল বিএনপির তুমি ইসলাম, মুক্তি জোটের মোহাম্মদ আলমগীর, জাসদের জেলা সভাপতি শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, সতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মনোনয়নপত্র বৈধ বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে।
এদিকে, সাতক্ষীরা সদর-২ আসনে মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে ১০ জন প্রার্থীর। প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত আসাদুজ্জামান বাবু, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর ভাই এনছান বাহার বুলবুল, জাতীয় পার্টির মনোনীত জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনোয়ার হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আফসার আলী, জাকের পার্টির শেখ ইফতেখার আল মামুন সুমন, ওয়ার্কার্স পার্টির মো. তৌহিদুর রহমান, বিএনএম-এর কামরুজ্জামান বুলু, তৃণমূল বিএনপির মোস্তফা ফারহান মেহেদী। এদিকে, এই আসনে ঋণখেলাপি থাকায় মুক্তিজোটের প্রার্থী আব্দুল আজিজ এর মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
এদিকে, সাতক্ষীরা-৩ মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে ছয়জন প্রার্থীর। প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ. ফ ম রুহুল হক-এমপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের মনোনীত শেখ তরিকুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুল হামিদ, জাকের পার্টির মোহাম্মদ মঞ্জুর হাসান, তৃণমূল বিএনপির রুবেল হোসেন ও জাতীয় পার্টির আপিল হোসেন।
অপরদিকে, সাতক্ষীরা-৪ আসনে মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে আটজন প্রার্থীর। প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত এস এম আতাউল হক দোলন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাকসুদা খানম মেধা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন মনোনীত এইচ এম গোলাম রেজা, তৃণমূল বিএনপির আসলাম আল মেহেদী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের শফিকুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির শেখ একরামুল, জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, মনোনয়ন যাচাইবাছাইয়ের শেষে আজ সাতক্ষীরা-৩ আসনের ছয়জন এবং ৪ আসনের আটজনসহ মোট ১৪ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে, রোববার সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয় ১২টি। ১২টি মনোনয়নত্রের সবকটি বৈধ বলে বিবেচিত হয়। এ ছাড়া সাতক্ষীরা-২ আসনে ১১টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়। এর মধ্যে ঋণখেলাপি থাকায় মুক্তিজোটের প্রার্থী আব্দুল আজিজের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। অপর ১০টি মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়। এনিয়ে সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনের মোট ৩৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হলো।
সাতক্ষীরার রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির আরও জানান, প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীদের কোনোরূপ প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
মন্তব্য করুন