মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে ফসলি জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৭ জুন) উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ সাগরনাল এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত ব্যক্তির নাম হামিদ কালা (৬০)। তিনি উপজেলার দক্ষিণ সাগরনাল গ্রামের মৃত হাজি আব্দুল লতিফের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষ সূত্রে জানা যায়, হাজি আব্দুল লতিফের তিন ছেলে আব্দুল জলিল ও ফারুক মিয়া ও হামিদ কালা। তাদের মধ্যে ফসলি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকদিন বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ঘটনার দিন সকালে আব্দুল জলিল ও ফারুক মিয়া বিরোধপূর্ণ জমিতে হাল চাষ করতে গেলে আব্দুল হামিদ কালা বাধা দেন। বাধা দেওয়ার একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও মারামারি হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে আব্দুল হামিদ কালা আহত হওয়ার একপর্যায়ে স্ট্রোক করে মারা যান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সহকারী পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) দীপঙ্কর ঘোষ ও জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।
হামিদ কালা বড় ছেলে আপ্তাব মিয়া বলেন, ‘আজ সকালে জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার বাবার ওপর আমার চাচা বড়লেখা উপজেলার ছিদ্দিক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল, ফারুক আহমদ ও আমার বাবার চাচাতো ভাই আব্দুল খালেক হামলা চালায়। তাদের হামলায় সেখানেই আমার বাবা মারা যান। আমি আমার বাবার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল জলিল বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। আমি স্কুলে ছিলাম। আমার ভাই ফারুক একই এলাকার ইউনুছ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে ওই জায়গাটি বর্গা চাষের জন্য দিয়েছিলেন। ঘটনার দিন ইউনুস মিয়া ওই জায়গায় হাল চাষ করতে গেলে আব্দুল হামিদ কালা বাধা দেন। এক সময় তাদের মধ্যে শুধু কথাকাটাকাটি হয়েছে। হামলার ঘটনা ঘটেনি। আমার ভাই আব্দুল হামিদ কালা হার্টের রোগী ছিলেন। তিনি স্ট্রোক করে মারা যান।’
জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিবারের এজাহার অনুযায়ী মামলা গ্রহণ করা হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন