বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সরকারি কর্মকর্তাকে পেটানোর ঘটনা ৫০ হাজারে দফারফা

কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। ছবি : কালবেলা
কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। ছবি : কালবেলা

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আনছার উদ্দিনকে মারধর করার ঘটনা ৫০ হাজার টাকায় দফারফা হয়ে গেছে। এর আগে কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে ওই কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গণমাধ্যমের কাছে এমন অভিযোগ করেন উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনসার উদ্দিন।

উপজেলা প্রশাসনের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান ও নাজিরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুকের মাধ্যমে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চিকিৎসা খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি দফারফা করেন। এ বিষয়ে আনছার কোনো মামলা করবেন না উল্লেখ করে দফারফায় সিদ্ধান্ত হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার বলেন, আমি আনসারকে মারধর করিনি তাই দফারফার কেনো প্রশ্নই আসে না। ৫০ হাজার টাকায় দফারফার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোনো বিষয় আমার জানা নেই।

এদিকে দফারফার বিষয় জানতে চাইলে ভুক্তভোগী উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আনছার উদ্দিন বলেন, তারা আমাদের উপপরিচালককে (ডিডি) ফোন দিয়েছিলেন। শুনেছি জেলা প্রশাসকসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ডিডি বিষয়টা সমাধান করার দায়িত্ব দিয়েছেন। তারা বিষয়টা সমাধান করছেন। আমি তো ডিপার্টমেন্টে চাকরি করি, একা মামলা করে তার কিছুই করতে পারব না।

৫০ হাজার টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিও শুনেছি, আমাকে ইউএনও স্যার ফোন দিয়ে বলেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজী বলেন, উপজেলা প্রশাসন বিষয়টা নিয়ে মামলা করতে চেয়েছে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তা নিজেই মামলা করতে আগ্রহী নয়। মামলা করতে তার বিভাগীয় ডিডির অনুমতি নিতে হবে, এসব নানা কারণে তিনি মামলা করেননি।

তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার তাকে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। টাকার বিনিময়ে দফারফার বিষয়ে আমার জানা নেই।

উল্লেখ্য, মারধরের ঘটনায় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে ‘সরকারি কর্মকর্তাকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। তখন তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২০২০ সালের একটি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য কনকদিয়া ইউনিয়নের স্যার সলিমুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে গত রোববার রাতে তাকে পিটিয়ে আহত করেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। এ ছাড়াও মারধরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছিলেন ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ডিক্যাবের শোক

কর্মসূচি স্থগিত করে নতুন ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউজুড়ে জানাজা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি 

খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাতে নিউমার্কেট বিএনপির দোয়া

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমানের পদত্যাগ

গণতন্ত্র হারাল এক অভিভাবক, জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি : এবিএম ওবায়দুল

প্রকৌশল খাতে খালেদা জিয়ার অবদান অনস্বীকার্য : আইইবি

রুমিন ফারহানাসহ যে ৯ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়ার জানাজা উপলক্ষে যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে 

বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে যা জানা গেল

১০

বহিষ্কারের পর নির্বাচন করার ঘোষণা ১ বিএনপি নেতার

১১

ইজতেমার ময়দানে সমাবেশ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল সরকার

১২

রাস্তায় ফেলে যাওয়া ২ শিশুর দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক

১৩

খালেদা জিয়ার মৃত্যু / ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণায় স্থগিত হলো যেসব পরীক্ষা

১৪

বিএনপি নেতার প্রার্থিতা গ্রহণ না করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ব্যাংকের চিঠি

১৫

খালেদা জিয়ার ‘মাতৃস্নেহ’ নিয়ে অধ্যাপক জাহিদের স্মৃতিচারণা

১৬

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাবির বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থা

১৭

ওয়েস্টিন, শেরাটন ও হানসার ৩১ ডিসেম্বরের সব অনুষ্ঠান বাতিল

১৮

বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক : ডা. তাহের

১৯

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

২০
X