ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো জয়পুরহাটের ক্ষেতলালেও মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে আলুর জমিতে পানি জমতে শুরু করেছে। যা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
ক্ষেতলাল উপজেলায় এবার ৮ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হচ্ছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ৬২ টন। কৃষকরা আগাম আলু লাগিয়েছে ৪৫০ হেক্টর জমিতে। তবে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে ২ দিনের বৃষ্টিতে কিছু কিছু জমিতে পানি জমতে শুরু করেছে। ফসল বাঁচাতে তাই চিন্তিত কৃষকরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বৃষ্টিতে ভিজে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করছিলেন নিশ্চিন্তা এলাকার কৃষক শাহারুল ইসলাম ও বড় তারা গ্রামের কৃষক শাজাহান আলী।
তাদের সঙ্গে কথা হলে কৃষক শাহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এবার তিন বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছি। তিন দিন আগেই জমিতে সেচ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারপর থেকেই জমিতে এই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির পানি জমতে শুরু করেছে। ফসল বাঁচাতে তাই বৃষ্টিতে ভিজেই পানি নিষ্কাশন করছি।’
বড়তারা গ্রামের কৃষক শাজাহান আলী বলেন, ‘আমি ১২ বিঘা আলু লাগিয়েছি। কিন্তু এই অসময়ের বৃষ্টিতে আমার আগাম জাতের আড়াই বিঘা জমিতে পানি জমেছে। তাই পানি নিষ্কাশন করছি। না হলে আলু গাছের গোড়া পচতে পারে এবং গাছ নুইয়ে যেতে পারে। এ রকম বৃষ্টি চলতে থাকলে ক্ষতির সম্মুখীন হবো।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহিদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, জমিতে বেশি দিন পানি জমে থাকলে আলুর পচন ধরে কৃষকের ক্ষতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে জমির পানি নিষ্কাশন করলে ক্ষতির সম্ভাবনা কিছুটা কম হবে। তবে এই বৃষ্টিতে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই আবহাওয়া ভালো হবে। তবুও আমরা পানি নিষ্কাশনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।’
মন্তব্য করুন