মেহেরপুর-২ (সংসদীয়-৭৪) আসনের সাবেক দুবারের সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেনের কোনো আয়ের উৎস নেই। তার কোনো বাড়ি, গাড়ি ও কৃষিজমি নাই। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি আছে যৎসামান্য।
১৯৯৬ ও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে দুবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া মকবুল হোসেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী পাওয়া গেছে তা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্যই মিলেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সাথে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী যৌথ মালিকানার ৩ কাঠা জমি ছাড়া তার আর কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। তবে ২০১৩ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামায় তার এবং তার স্ত্রীর কোনো স্থাবর সম্পত্তি ছিল না। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ২১ হাজার টাকা। এখন তা কমে শূন্যে দাঁড়িয়েছে। হলফনামা অনুযায়ী বর্তমানে মকবুল হোসেনের বার্ষিক কোনো আয় নাই। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার ও তার স্ত্রীর জমাকৃত কোনো টাকাও নাই। নেই কোনো বন্ড ও সঞ্চয়পত্র।
তার নগদ টাকা রয়েছে মাত্র ৩ লাখ ও স্ত্রীর ৫০ হাজার। গৃহস্থলীর সামগ্রীর মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবে তার স্বর্ণ রয়েছে ৪০ ভরি এবং তার স্ত্রীর স্বর্ণ রয়েছে ১০ ভরি। তিনি কৃষি খাতে ২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে রেখেছেন।
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ২১ হাজার টাকা। আয়ের খাত ছিল ব্যবসা। নগদ ছিল ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। ৪০ ভরি স্বর্ণ ছিল এবং গৃহস্থলীর সামগ্রী ছিল ৫০ হাজার টাকার। তার স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ছিল না। ছিল না কোনো স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাও।
মকবুল হোসেনের বর্তমান স্থাবর সম্পদ বলতে যৌথ মালিকানার তিন কাঠা জমি এবং যৌথ মালিকানার পাকা দোতলা বাড়ি ছাড়া আর কিছু নাই। অবশ্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার কোনো স্থাবর সম্পদ ছিল না।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেননি। তবে ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়েও নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন