ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেলেদের ট্রলারডুবির ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন দুই জেলে। শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুর ১টার দিকে বঙ্গোপসাগর মোহনা থেকে এ মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
ট্রলারডুবির ঘটনায় চরফ্যাশন উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন ছয় জেলে। তারা টানা পাঁচ দিন সাগরে ভেসে ছিলেন।
স্থানীয় মাছঘাটের ব্যবসায়ী রিপন বলেন, আহত, নিহত ও নিখোঁজ সবার বাড়ি চরফ্যাশনে। তবে তিনি তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি। সাগরে মাছধরা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ওই জেলেরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল।
স্থানীয় সামরাজ মাছঘাট সূত্রে জানা যায়, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গত ২৪ জুন ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ১৩ জেলে। সাগর উত্তপ্ত থাকায় পরদিন ট্রলারটি ডুবে গেলে তারা নিখোঁজ হন। তাদের মধ্যে দুই জেলে ভেসে এসে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকালে মনপুরার একটি চরে পৌঁছান। তাদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর শুক্রবার সকালে আরও চার জেলে চরফ্যাশনে ভেসে আসেন। তাদেরও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে অন্যদের খুঁজতে স্থানীয় জেলে ও আড়তদাররা ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায় এবং বেলা ১টার দিকে পাঁচ জেলের মরদেহ উদ্ধার করেন। পুলিশ পরিদর্শক রিপন কুমার সাহা ও জেলা পুলিশের কন্ট্রোলরুম থেকে জানা গেছে, চিকিৎসাধীন ছয় জেলেকে দেখতে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেছে। তাদের কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রিপন কুমার সাহা আরও জানান, নিখোঁজ জেলেদের আত্মীয়স্বজন ও আড়তদাররা তাদের খুঁজতে গেছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৫ জেলের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি পুলিশ শুনতে পেয়েছে। কিন্তু উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো এখনো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
মন্তব্য করুন