মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শান্তা রহমানের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সাটুরিয়ায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শনিবার বিজয় দিবসে সকালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো। ইউএনও তার বক্তব্য দেওয়ার সময় সেখান থেকে চলে যান। বক্তব্য শেষে তিনি পুনরায় অনুষ্ঠানস্থলে ফিরে আসেন। এ নিয়ে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ইউএনওর বাগবিতণ্ডা হয়। এর আগে আসন বিন্যাস ও অনুষ্ঠানে অব্যবস্থাপনাকে কেন্দ্র করে সাটুরিয়া উপজেলার দুজন ভাইস চেয়ারম্যান ও সাটুরিয়া প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা কুচকাওয়াজ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জন করে চলে যান।
এ ছাড়া শনিবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার সময় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এ সময় প্রোটোকল ভেঙে পড়লে উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন ও দপ্তর প্রধানগণ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সমকালের সাটুরিয়া প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমান ইউএনও শান্তা রহমান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য আমরা শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে অনুষ্ঠান বর্জন করে চলে যাই।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘বিজয় দিবসে আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদক এমনকি সাংবাদিকদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়নি। প্রশাসন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মানুষই মনে করে না। উপজেলা প্রশাসনের এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।’
এ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো বলেন, জাতীয় দিবসে নয়, তিনি বিভিন্ন সময় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তা রহমানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন