প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল ঘিরে সকাল থেকেই জড়ো হচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এবার সিলেটে নির্বাচনী প্রচারণার জনসভায় সর্বাধিক মানুষের উপস্থিতির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সিলেট বিভাগের চার জেলায় দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের পাশাপাশি সিলেট সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে হাজির হচ্ছেন তারা। এ সময় তারা স্লোগানে-স্লোগানে মুখর করে তুলছেন সিলেট নগরী। সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই জনসভা বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই জনসভাস্থলের আশপাশে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। ভোর থেকেই সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জড়ো হন। বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের স্লোগান, বাদ্যযন্ত্রে জনসভাস্থলে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ।
বু্ধবার সকাল ১০টার পরে সিলেট নগরীর রিকাবিবাজার পয়েন্টে গান করছেন তিনজন।
‘কোন মেস্তরি নাও বানাইলো এমন দেখা যায় ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে বঙ্গবন্ধুর নাও, শেখ হাসিনার নাও’
সিলেটে নৌকার প্রচারে তারা এসেছেন গোপালগঞ্জ, বরিশাল ও রংপুর থেকে।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সিলেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
তাদের একজন গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার হিরণ গ্রামের শেখ মো. ইলিয়াস ৬৩ (ভাইরাল ইলিয়াস)। তার ভাষ্য, ঢাকাতে আওয়ামী লীগের বিজয় র্যালিতে অংশগ্রহণ করে মঙ্গলবার রাতে গাড়িতে উঠে সিলেটে এসেছি আমরা। আমার সঙ্গে আছেন বরিশালের মজিবর বয়াতি (৫০) ও রংপুরের মো. আলী (৬২)। আমরা তিনজন গানে-গানে নৌকার প্রচার করছি।
মো. মজিবর বয়াতি জানান, তিনি বরিশাল থেকে এসেছেন। তারা সিলেট আসার আগে নৌকার প্রচারে খুলনা, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর ঘুরে সিলেটে এসেছেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের আগ পর্যন্ত তারা মাঠে প্রচার করে বেড়াবেন। এজন্যই তাদের সিলেট আসা। একই ভাষ্য রংপুরের মো. আলীর।
তারা তিনজন জানান, সিলেটের মেয়র সাহেবের সঙ্গে আলাপ করতে চাই; উনি সুযোগ দিলে সিলেটে থেকে নৌকার উন্নয়ন প্রচার করতে চাই। তাই মেয়রের সহযোগিতা চাই আমরা।
শেখ মো. ইলিয়াস জানান, সিলেট সিটির নির্বাচনের সময় আমি সিলেটে এসে নৌকার প্রচার করেছি গানের মাধ্যমে; পরে নৌকার বিজয়ের পর মেয়রের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছি।
এদিকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আশপাশের এলাকা, চৌহাট্টা, রিকাবীবাজারসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দেখা গেছে। সেখান থেকে দলে দলে তারা জনসভাস্থল সিলেট নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আসছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পর আজ আবার সিলেটের কোনো জনসভায় বক্তব্য দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জড়ো হবেন বিভাগের চার জেলার ১৯টি সংসদীয় আসনের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সভাপতির দিক-নির্দেশনা শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্বাচনী সফরের সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে দল।
মন্তব্য করুন