কুমিল্লায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১১ দিনে প্রায় ৩ লাখ টাকা জরিমানা গুনছেন প্রার্থীরা। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির শোকজেরও জবাব দিতে হয়েছে কয়েকজনকে। এই তালিকায় রয়েছেন প্রার্থীর সমর্থক জনপ্রতিনিধি ও কর্মীরা।
প্রতিপক্ষকে আহত করার হুমকি, খিচুড়ি বিতরণ, রঙিন পোস্টার-ব্যানার টানানো ও জোর করে ভোট আদায়ের ঘোষণা দিয়ে এসব জরিমানা দিয়েছেন তারা।
এ ছাড়া নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির শোকজ পেয়েছেন- কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি, কুমিল্লা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এমপি, কুমিল্লা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এমপি, কুমিল্লা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ জাহের। এ ছাড়াও মেঘনা মানিকারচর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেনকেও শোকজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১০ থেকে ২১ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অন্তত ২৩টি ঘটনায় ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
এর মধ্যে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ব্যানার টানানোয় একজনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের পক্ষে পাঁচ হাজার টাকা, কুমিল্লা-১ আসনে দাউদকান্দিতে তোরণ নির্মাণ করায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সবুরকে ১০ হাজার টাকা, কুমিল্লা-১১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানের দুই সমর্থককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
১৮ ডিসেম্বর আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কুমিল্লার বিভিন্ন আসনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ১০ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুস সবুরের সমর্থক জাহাঙ্গীর আলম খানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মন্তব্য করুন