কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার অনেক কৃষক লাল ফুল জাতের শিম চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন। গোমতী নদীর পাড়সহ বিভিন্ন স্থানে পতিত জমিতে সুতো ও বাঁশের তৈরি মাচার ওপর দুলছে শিম গাছের কচি ডগা। ডগার মধ্যে উঁকি দিচ্ছে শিমের লাল ফুল। সবুজ পাতার কচি ডগায় লাল ফুলে হাসছে কৃষকের স্বপ্ন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা সদর উপজেলায় গোমতী নদীর পাড়ে এবার প্রায় ২০০ কৃষক শিম চাষ করছেন। কুমিল্লার মাটি সবজি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় দ্বিগুণ ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে তাদেরকে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। বীজ রোপণের দেড় মাস পর থেকে শিম গাছে ফুল ও ফল ধরতে শুরু করে বলে তারা জানান। এতে কৃষকরা শিম চাষে আশার আলো দেখছেন।
সদর উপজেলার সুবর্ণপুর গ্রামের কৃষক মাহবুবুর রহমান জানান, তিনি অন্য ফসলের পাশাপাশি কৃষি বিভাগের পরামর্শে ওসহযোগিতায় লাল ফুল জাতের শিম চাষ করেছেন। তিনি গোমতী নদীর পাড়ে দুই একর পতিত জমিতে এই শিমের চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। তিনি প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন শিম তুলে বাজারে বিক্রি করেন। ইতোমধ্যে তিনি প্রায় ৩০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছেন। বাজারে এ শিমের চাহিদা থাকায় ও ভালো দাম পাওয়ায় তিনি সফলতার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি আগাম শীতকালীন শিম বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ জানান, মাহবুবের মতো অনেক কৃষক এখন শিম চাষ করছেন। এসব কৃষককে কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। শীতকালীন আগাম লাল ফুল জাতের শিম চাষ করে কৃষকরা অনেক লাভবান হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শ অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখা যাবে না। এরই ধারাবাহিকতায় গোমতী নদীর পাড়ে পতিত জমিতে নানা ধরনের সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। গোমতী পাড়ের পতিত জমিতে এবার অনেক সবজি চাষি ব্যাপকভাবে লাল ফুল জাতের শিমের চাষ করেছেন। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন। আগাম শিম চাষে ফলন ও দাম দুটোই তারা ভালো পাচ্ছেন। এতে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
মন্তব্য করুন