আতাউর রহমান, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কুমিল্লায় শীতকালীন পিঠা বেচাকেনার ধুম

ব্রাহ্মণপাড়ার সড়কের পাশেই চলছে পিঠার বেচাকেনা। ছবি : কালবেলা
ব্রাহ্মণপাড়ার সড়কের পাশেই চলছে পিঠার বেচাকেনা। ছবি : কালবেলা

প্রতি বছরই শীত এলেই হাটবাজারে ও লোকসমাগম হয় এমন স্থানে বিক্রি হয় শীতকালীন নানারকম পিঠা। এসব পিঠার মধ্যে রয়েছে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, গুলগুলি ও পুলিপিঠা। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন এসব পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সি শ্রেণিপেশার মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সদর বাজারের সিএনজি স্ট্যান্ড, একই বাজারের রশীদ মার্কেটের সামনের ফুটপাতে, বড়ধুশিয়া বাজারের ফুটপাতে, চান্দলা বাজারের মধ্য বাজার ফুটপাতসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও বিভিন্ন রাস্তার ফুটপাতে ও মোড়ে মোড়ে চলছে পিঠা বিক্রির ধুম। ভাপা পিঠার পাশাপাশি এসব ভ্রাম্যমাণ পিঠা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন চিতই পিঠা, পাটিসাপটা, গুলগুলি ও পুলিপিঠা। বিকেল থেকে পিঠা বিক্রি শুরু হলেও সন্ধ্যার পরেই জমে ওঠে এসব পিঠা বিক্রি। বেশিভাগ দোকানেই পিঠা বিক্রি করছেন নিম্নবিত্ত পরিবারের পুরুষ ও মহিলারা। অন্য পেশার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উদ্দেশ্যে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ পিঠা বিক্রি করছেন তারা।

উপজেলার সদর বাজারের পিঠা বিক্রেতা মো. কামাল হোসেন কালবেলাকে বলেন, সারাদিন সাংসারিক বিভিন্ন কাজ শেষে বাড়তি আয়ের আশায় বিকেল থেকে এই বাজারে বসি পিঠা বিক্রি করতে। এতে অভাবের সংসারটা একটু ভালোমতো চলে। প্রতিদিন ভালোই পিঠা বিক্রি হয়। অনেকেই আসেন পিঠা নিতে। কেউ কেউ এখানে দাঁড়িয়েই গরম গরম পিঠা খান। আবার কেউ কেউ পিঠা কিনে বাড়ি নিয়ে যান। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার টাকার মতো উপার্জন করি।

উপজেলার বড়ধুশিয়া বাজারের পিঠা বিক্রেতা কেশু মিয়া কালবেলাকে বলেন, আমি প্রতিবছরই শীতকালে পিঠা বিক্রি করি। এ বছরও ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রি করছি। খেটে-খাওয়া মানুষ আমরা একটু বাড়তি আয়ের আশায় পিঠা বিক্রি করছি। এই বাজারে পিঠার চাহিদাও রয়েছে। এই কাজে আমার স্ত্রী আমাকে সাহায্য করছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেড় দুই হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হয়।

পিঠা কিনতে আসা শামীম হোসেন বলেন, শীতকালে একসময় ঘরে ঘরে এসব পিঠাপুলি তৈরি করা হতো, সময়ের পরিক্রমায় আজ তা আর তেমন একটা দেখা যায় না। এখনকার মহিলারাও বাড়িতে পিঠা তৈরি করতে ঝামেলা মনে করেন। তাই এসেছি বাজার থেকে পিঠা কিনে নিয়ে পরিবারের সবাই মিলেমিশে খাব। এতে শীতকালীন পিঠার স্বাদও পেয়ে যাই।

পিঠা কিনতে আসা আরেক ক্রেতা ওবায়দুর রহমান বলেন, বাচ্চারা ভাপা পিঠা খেতে চেয়েছে তাই এখানে এসেছি পিঠা নিতে। আমি প্রায়ই এখান থেকে পিঠা কিনে বাসায় নিয়ে যাই। শীত মৌসুমে সকালে ও সন্ধ্যায় পিঠা খেতে ভালোই লাগে।

পিঠা খেতে আসা তানভীর আলম বলেন, প্রায়ই বন্ধুবান্ধবসহ এখানে পিঠা খেতে আসি। শীতকালে সন্ধ্যার পর পিঠা খেতে ভালো লাগে। এসব পিঠা খাওয়ার সময় নিজেকে প্রকৃত বাঙালি বাঙালি মনে হয়।

চান্দলা মডেল হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মো. অপু খান চৌধুরী বলেন, শীতকালে বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি আবহমান বাংলার একটা ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্যে অনেকটা ভাটা পড়লেও উপজেলার বিভিন্ন বাজারে নানারকম পিঠা বিক্রিতে নবান্নের চিত্র উঠে আসছে। এতে অনেকেই এসব পিঠা খাওয়ার মাধ্যমে নবান্নের স্বাদ পায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

 বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামিক সংগঠনের নেতার পদত্যাগ দাবি

২৩ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

শুটিংয়ের প্রলোভনে মডেলকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, অতঃপর...

কেয়ামতের দিন যে ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্বয়ং মহান আল্লাহ বাদী হবেন

বাম চোখ লাফালে কী হয়? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ আলেম

২৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

লবণ নাকি চিনি, কোনটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে?

হল ত্যাগের নির্দেশ, ঢাবিশিক্ষার্থীদের প্রতি তাসনিম জুমার যে অনুরোধ

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান ইডেন শিক্ষার্থীদের

১০

৭ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

১১

ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় সংঘর্ষ, আহত অনেক

১২

ক্যাম্প ন্যুতে বার্সার রাজকীয় প্রত্যাবর্তন

১৩

জনগণকে নিয়ে এলাকার কল্যাণে কাজ করব : রবিন 

১৪

দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে ৭৬ ক্লাবকে নিয়ে কোয়াবের চা-চক্রের আয়োজন

১৫

ভূমিকম্প আতঙ্কে ঢাবি ভিসির বাসভবনের সামনে শুয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা

১৬

এবার নিজেদের মাঠে নাস্তানাবুদ লিভারপুল

১৭

ভূমিকম্পে নিহতদের সম্পর্কে যা বলেছেন নবীজি (সা.)

১৮

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোরআন বিতরণ 

১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ দিন বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ

২০
X