রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাজশাহীতে ৪ নেতাকে বহিষ্কার, বিব্রত স্থানীয় বিএনপি

বিএনপির লোগো। গ্রাফিক্স : কালবেলা
বিএনপির লোগো। গ্রাফিক্স : কালবেলা

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির চার নেতাকে হঠাৎ বহিষ্কার করা হয়েছে। এতে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে বিব্রত তারা। গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কার হওয়া চারজন হলেন- গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম, উপজেলার বাসুদেবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক।

তবে একজন নয়, চার নেতাকে বহিষ্কারের কেন্দ্রীয় বিএনপির এই সিদ্ধান্তে বেশ বিব্রত হয়েছে রাজশাহী বিএনপির নেতারা। গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুস সালাম এ ব্যাপারে বলেন, কোনো ওয়ার্ড কমিটির নেতাকে বহিষ্কার করতে হলে ইউনিয়ন কমিটি সেটা সুপারিশ করে। ইউনিয়ন কমিটির কোনো নেতাকে বহিষ্কার করতে হলে উপজেলা কমিটির সুপারিশ লাগে। গোদাগাড়ীর তিন নেতাকে বহিষ্কারের ক্ষেত্রে কোনোটিই মানা হয়নি। মোজাম্মেল হক ছাড়া তারা এই বহিষ্কারের কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।

জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার বলেন, বিএনপির চার নেতাকে বহিষ্কার করার ঘটনায় আমরা বিব্রত। সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক নৌকার প্রচারে অংশ নেওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা ঠিক আছে। কিন্তু বাকিরা বর্তমান নেতারা বিএনপির সব দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেন। তারা কয়েক দিন থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণ করছেন।

তিনি আরও বলেন, বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়নি। আমরা হোয়াটসঅ্যাপে জেলা বিএনপির প্রতিবাদের কপি লন্ডনে পাঠাব। আশা করি, সেখান থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সংশোধন করা হবে৷ তা না হলে গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির অনেক নেতা পদত্যাগ করতে পারেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে তানোর উপজেলার সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক নৌকার ভোট চান।

ওই জনসভায় তিনি বলেছিলেন, ‘যারা বিএনপির কর্মী-সর্মথক আছেন, তাদের কাছে আমার মেসেজ (বার্তা) হচ্ছে, আমরা ভোটকেন্দ্রে যাব, ভোট দেব। আমাদের তানোরের গর্ব, তানোরের অহংকার ওমর ফারুক চৌধুরী। তার প্রতীকেই কিন্তু আমরা ভোট দেব।’ বিএনপির এই নেতার এমন বক্তব্যে তখন থেকেই রাজশাহীজুড়ে বেশ সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এর আগে গত ১৯ অক্টোবর তানোর উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনার চত্বরে এক মতবিনিময় সভায় ওমর ফারুক চৌধুরী একটি ফুলের মালা নিয়ে মোজাম্মেল হকের গলায় পরিয়ে দিয়েছিলেন। তখন অবশ্য মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, ওমর ফারুক চৌধুরী তাকে স্নেহ করেন। সেই জন্যই মালাটা দিয়েছেন। এটা রাজনৈতিক কোনো ব্যাপার নয়। ওমর ফারুক চৌধুরীও তখন বলেছিলেন, এটা রাজনৈতিক মালা নয়। এবার সেই মোজাম্মেল নৌকার ভোট চেয়ে বহিষ্কৃত হলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২০১৮ সালের নির্বাচনের বদনাম ঘোচাতে চায় পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার

ওয়েস্ট হ্যামের বিরুদ্ধে চেলসির বড় জয়

নরসিংদী জেলা সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা’র নতুন কমিটিকে সংবর্ধনা

কেইনের হ্যাটট্রিকে লেইপজিগকে উড়িয়ে দিল বায়ার্ন

নিখোঁজের একদিন পর যুবকের মরদেহ মিলল পুকুরে

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের তারিখ ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

এশিয়া কাপ দলে জায়গা পেয়ে সোহানের কৃতজ্ঞতার বার্তা

ঘুষ কেলেঙ্কারিতে পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

প্রবীণদের বিশেষ যত্ন নিয়ে বার্ধক্যের প্রস্তুতি নিন: স্বাস্থ্য সচিব

বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত: রাষ্ট্রদূত আনসারী

১০

লা লিগার কাছে যে অনুরোধ করতে চায় বার্সা

১১

‘নির্বাচনে আমলাদেরকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে’

১২

সাবেক এডিসি শচীন মৌলিক কারাগারে

১৩

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন শনিবার, যেসব বিষয়ে আলোচনা

১৪

সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের শানে রিসালাত সম্মেলন

১৫

শেষ দিনেও ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত দেয়নি ৭ রাজনৈতিক দল

১৬

ইউরোপের লিগগুলোতে দল কমানোর প্রস্তাব ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির

১৭

নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা

১৮

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে মৃত্যুর মিছিল, তিন বছরে প্রাণ হারান ১৮৩ জন

১৯

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি 

২০
X