শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বরিশালে ফ্রান্সিস হল্টের সঙ্গে গান গাইলেন শেখ রেহানা

অক্সফোর্ড মিশনে লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টের পাশে শেখ রেহানা। ছবি : কালবেলা
অক্সফোর্ড মিশনে লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টের পাশে শেখ রেহানা। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টের কণ্ঠে গান শুনেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। গানের তালে তার সঙ্গে কণ্ঠও মিলিয়েছেন তিনি। এ সময় লুসির মানবিক আদর্শ সবার ধারণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন শেখ রেহানা। পরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে লেখা লুসির চিঠিগুলো সংরক্ষণের আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা।

এর আগে লুসিকে দেখতে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বরিশালে অক্সফোর্ড মিশনে যান শেখ রেহানা। এ সময় তিনি লুসির স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।

শেখ রেহেনা ছাড়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিশনের ফাদার ফ্রান্সিস, জন, সিস্টার মার্গারেট, শেফালী, শিখা, চার্চের ম্যানেজার রিচার্ড রতন হালদার ও অপসোনিন ফার্মার প্রকল্প সমন্বয়ক সমাজসেবক রফিকুর রহমান।

অক্সফোর্ড মিশনের ফাদার জন কালবেলাকে জানান, শুক্রবার বেলা ১টার দিকে তাদের মিশনে ফুল, ফল নিয়ে আসেন শেখ রেহানা। তার আগমনের খবর দুদিন আগে থেকেই জানতেন মিশনের লোকজন।

রফিকুর রহমান জানান, হলরুমে ঢুকেই বঙ্গবন্ধুকন্যা লুসি হল্টের কাছে গিয়ে নিজেই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পাশের চেয়ারে বসে লুসি হল্টের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন শেখ রেহানা। নিজে চেয়ার থেকে উঠে সংক্ষিপ্ত সভায় অংশ নেওয়া আটজনের প্রত্যেকের কাছে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা পরিচিত হন, সবার খোঁজখবর নেন। এ সময় বরিশালের নানা স্মৃতিচারণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

লুসি হল্টকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় অক্সফোর্ড মিশন কর্তৃপক্ষ। এ সময় লুসি হল্টের কাছে গান শোনার আবদার করেন শেখ রেহানা। লুসিও গান শোনান পরম কৃতজ্ঞতা নিয়ে। কাজী নজরুল ইসলামের ‘নাচ ময়ূরী নাচরে’ গানে সুর তোলেন লুসি হল্ট। এ সময় লুসির সুরে সর মেলান বঙ্গবন্ধুকন্যাও। পরে অক্সফোর্ড মিশনে গির্জার ভেতরে যান শেখ রেহানা। কিছু সময় প্রভু যিশুর গির্জা ঘুরে দেখেন এবং অক্সফোর্ড মিশনের ইতিহাস শোনেন। একপর্যায়ে উপস্থিত সবার সঙ্গে ছবি তোলেন শেখ রেহানা। পরে তিনি সেখান থেকে বের হয়ে সার্কিট হাউসে যান।

লুসির জন্ম যুক্তরাজ্যের সেন্ট হেলেনে। তিনি ১৯৬০ সালে বাংলাদেশে প্রথম আসেন। যোগ দেন বরিশাল অক্সফোর্ড মিশন স্কুলে। ৫৭ বছর ধরে কাজ করছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যশোরে অবস্থান করেন। সেখানে জীবনের মায়া ত্যাগ করে সেবা দেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের। লুসির একমাত্র দাবি ছিল বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া। লুসি হল্টের প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০১৮ সালে গণভবনে ডেকে নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভেড়ামারায় দুর্বৃত্তের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তুষার, সম্পাদক হাবীব

ভূমিকম্পে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৪১ জন আহত

ক্যারিয়ার শেষে কত উইকেট চান জানালেন তাইজুল

 ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে রাজউকের তাৎক্ষণিক পরিদর্শন

মেসিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যা বললেন ফ্লিক

গৌহাটি টেস্টের আগে ভারত শিবিরে দুঃসংবাদ

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না : শিবির সভাপতি

নাটকীয় জয়ের পরও নিজের ভুলে হতবাক আকবর

১০

স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান : প্রধান উপদেষ্টা

১১

নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ 

১২

ভূমিকম্পে ছেলের পর এবার চিকিৎসাধীন বাবার মৃত্যু

১৩

তারেক রহমানের জন্মদিনে ৫ হাজার মানুষকে উপহার দিলেন যুবদল নেতা

১৪

জামায়াতের নাড়িপোতা পাকিস্তানে : মাহমুদ হাসান 

১৫

ঐক্যবদ্ধভাবে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান গণসংহতির

১৬

তারেক রহমান : ইতিহাসের অগ্নিপথ পেরিয়ে জাতির প্রত্যাশার শিখরে

১৭

ডাকসু নেত্রী রাফিয়ার বাড়িতে আগুন, গ্রেপ্তার ৪ 

১৮

শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ কর্মকর্তা

১৯

ডেজার আলোচনা সভা ও স্মরণিকা উন্মোচন

২০
X