বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হলো নতুন পাঠ্যবই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রাঙামাটিতে ৯ হাজার ৯৯৪ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৩ হাজার ৪৬৮ টি (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা) স্ব স্ব মাতৃভাষার বই বিতরণ করা হয়েছে। স্ব স্ব মাতৃভাষার বই পেয়ে আনন্দে আত্মহারা শিক্ষার্থীরা। আর নতুন কারিকুলামের মাধ্যামে শিশুরা যোগ্য নাগরিত হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে ক্ষুদে শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখর হয় রাঙামাটির বিদ্যালয়গুলো।জেলার রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এবং রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সহ জেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বই উৎসব হয়েছে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের আঙিনায় তাদের এই উপস্থিতি। অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা কখন হাতে আসবে নতুন বই। বই হাতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে বইয়ের প্রতিটি পাতা।
সারা দেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হলেও রাঙামাটিতে এই বই উৎসবে রয়েছে ভিন্নতা। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হয়েছে স্ব স্ব মাতৃভাষার বই। সাধারণ বইয়ের সঙ্গে নিজের ভাষার বই হাতে পেয়ে খুশি নৃতাত্ত্বিক শিশুরা। ২০১৭ সাল থেকে সরকারি উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষাভাষী শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে এসব বই। বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীদের আনন্দ যেন আর ধরে না।
জেলা প্রাথমকি শিক্ষা কর্মকর্তা হৃষীকেশ শীল বলেন, চাহিদা অনুযায়ী সব বই বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছে। আর মাতৃভাষা পাঠদানের জন্য স্ব স্ব ভাষায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখা হবে।
মন্তব্য করুন