সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনের ধর্মপাশায় প্রতিদ্বন্দ্বী অপর নৌকার প্রার্থীর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্মপাশা থানাকে মামলা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অন্য পাঁচজন হলো- নুরে আলম নুরু, আবুল কাশেম, হাসেম, মোজাহিদ ও তোফায়েল।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবের আদেশক্রমে শুক্রবার বিকেলে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের উপসচিব (আইন) মো. আব্দুছ সালাম।
কমিশনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গেল ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকা কর্মীদের ওপর আকস্মিকভাবে হামলা করে তাদের স্মার্ট ফোন ভাঙাসহ নৌকা মার্কার ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। নৌকার নির্বাচন অফিসের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর এবং নৌকার সমর্থকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল, কিলঘুষি ও গলাটিপে ধরাসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয়। এ ঘটনা ঘটিয়ে হামলাকারীরা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৭ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ৭ (২) এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এ অবস্থায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আমলযোগ্য অপরাধ বিবেচনায় উক্ত আদেশের ৭৩ ও বর্ণিত বিধিমালায় বিধি ১৮এর অধীনে ধর্মপাশা থানায় এজাহার দায়ের করার জন্য ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের এই নোটিশের অনুলিপি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার ও ধর্মপাশা থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দেওয়া হয়েছে।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল হক শনিবার বিকেল ৩টায় জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। আজকের (শনিবার) মধ্যেই মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন