হাড় কাঁপানো শীতে বিশেষ করে দিনাজপুরের বিরামপুরসহ বেশকিছু জায়গার মানুষ কাবু হয়ে পড়েছে। শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
অন্যদিকে কলেরা স্যালাইন সংকটে পড়েছে হাসপাতাল। বিরামপুর ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ব্যক্তি মালিকাধীন স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকগুলো ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত শীতের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স রেহানা পারভীন কালবেলা বলেন, ১ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন। এ ছাড়া জ্বর সর্দি কাশিসহ ভর্তি হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এদের মধ্যে বয়স্করা ৫-৬ দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও শিশু ওয়ার্ডে এখনো ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।
এ ছাড়া বিরামপুর উপজেলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ব্যক্তি মালিকানা ক্লিনিকগুলোতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার অনেক ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাইম হাছান কালবেলাকে জানান, কিছুদিন পূর্বে ৫০০ সিসি কলেরা স্যালাইন স্টক ছিল, বর্তমানে কোনো স্যালাইনই স্টকে নেই। স্যালাইনের জন্য চাহিদা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে স্যালাইন না থাকায় রোগীদের বাইরের দোকান থেকে স্যালাইন আনতে হচ্ছে।
অপরদিকে ডা. মাহমুদুর রহমান ডলার বলেন, আউটডোর থেকে ওরস্যালাইন খাইয়ে ৭০জন রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার গোলাপগঞ্জ এলাকার আল-আমিনের ছেলে সুমন (৯) ডায়রিয়ায় ভর্তি হয়েছেন প্রায় এক সপ্তাহ আগে। এখনো তার চিকিৎসা চলছে। আল-আমিন জানান, হাসপাতাল থেকে কোনো কলেরার স্যালাইন পাননি। বাইরের দোকান থেকে কিনে নিয়ে ছেলের চিকিৎসা করাতে হচ্ছে।
মন্তব্য করুন