

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদের (৩৭) স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক (সামিয়ার ভাই) ওয়াহিদ আহমেদ, অপর আসামি মারিয়া আক্তার লিমার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ আসামিদের আদালতে হাজির করে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পল্টন থানায় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হত্যাচেষ্টা, বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহার করে স্বেচ্ছায় গুরুতর আঘাত, দুষ্কর্মে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে এদিকে, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছেড়েছেন শরিফ ওসমান হাদি। সোমবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে হাদিকে বহন করে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তির একজন চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন