যশোরে অতিথি পাখি শিকারের দায়ে দুই যুবককে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মনিরামপুর উপজেলার খানপুর গ্রামের মাওলানা রফিকুল ইসলামের দুই ছেলে মারুফ হোসেন (২১) ও আবুল হাসান (৩৫)।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এসিল্যান্ড আলী হাসান কালবেলাকে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খানপুর বিলে বিভিন্ন স্থানে পাখি শিকার করছিল মারুফ ও হাসান। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুটি অতিথি পাখিসহ তাদের আটক করে। পরে মারুফ ও হাসানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় মনিরামপুর থানার উপ পরিদর্শক কানু চন্দ্র উপস্থিত ছিলেন।
অতিথি পাখি সংরক্ষণ, আহরণ, শিকার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালক সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান।
বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডও হতে পারে। একই অপরাধ ফের করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণের বিধানও রয়েছে।
পাখি শিকারিদের তৎপরতা দুঃখজনক মন্তব্য করে তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি পরিযায়ী পাখির মাংস ও দেহের অংশ সংগ্রহ বা দখলে রাখলে অথবা বেচা-কেনা করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
মন্তব্য করুন