ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সদ্য বিদায়ী সাবেক এমপি মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় সাবেক এমপির ব্যক্তিগত পিএস সাইফুর রহমান সোহেল ও গাড়িচালক ফারুকসহ দুজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নবীনগর থানার ওসি মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে সলিমগঞ্জ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে জানাতে শুক্রবার বিকেলে সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল শিকদারের সভাপতিত্বে, সাবেক সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুলের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষ করে ঢাকা ফেরার পথে সলিমগঞ্জ বাজার আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে কিছুদূর সামনে সাবেক এমপি মোহাম্মদ এবাদুল করিমের গাড়িবহর হামলার স্বীকার হয়। গাড়িবহরে স্থানীয় আমিনুল, ইশতিয়াক, শান্তসহ ১০-১২ জন অতর্কিতভাবে পিস্তল, দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সাবেক এমপি এবাদুল করিম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ বিকেলে কিছু দুষ্কৃতিকারী আমার গাড়িবহরে হামলা করে।
আহত সাইফুর রহমান সোহেল বলেন, প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষে ঢাকা ফেরার পথে সলিমগঞ্জ বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে কিছুটা সামনে স্থানীয় আমিনুল আমাকে ভাই গাড়ি থেকে নামতে বলেন। আমি গাড়ি থেকে নামতে অস্বীকৃতি জানালে আমিনুল, ইশতিয়াক, শান্তসহ ১৫-২০ জন অতর্কিতভাবে পিস্তল, দেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। তারা গাড়ির একটি গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং আমাকে আহত করে। পরবর্তীতে এলাকার জনসাধারণ ধাওয়া দিলে তারা তিনটি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে হামলা চালানোর জন্য অভিযুক্ত বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের বক্তব্য জানার জন্য মোবাইল ফোনে কল করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
নবীনগর থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, সাবেক এমপি ঢাকা যাওয়ার সময় তার গাড়িবহরে একটি গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
মন্তব্য করুন