মোংলায় টানা চার দিন দেখা নেই সূর্যের। কনকনে ঠান্ডা ও ঘনকুয়াশায় ঢেকে গেছে গোটা জনপদ। ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। কনকনে ঠান্ডায় সময়মতো কাজে বের হতে পারছেন না তারা।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশিদ জানান, মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় মোংলা উপকূলীয় এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ ঠান্ডায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে মোংলার শিল্পাঞ্চল ও ইপিজেডের কর্মরত শ্রমিকরা। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ভ্যান, নসিমন, করিমনযোগে এই তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশায় মোংলা নদী পার হয়ে তাদের যেতে হচ্ছে কর্মস্থলে।
এ ছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীকূলে বসবাসকারীরা পড়েছেন আরও বিপাকে। নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত এসব মানুষ। কিন্তু তীব্র শীতে নদীতে নামতে পারছেন না ওই এলাকার বাসিন্দারা। এমনকি অর্থের অভাবে শীত বস্ত্র কিনতে পারছেন না এসব অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. শাহিন জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগ নিয়ে প্রতিদিন ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল জানান, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি অসহায় দুস্থদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রাখতে।
মন্তব্য করুন