শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২
এনামুল হক মিলাদ, হবিগঞ্জ (আজমিরীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন হাওরাঞ্চলের কৃষকরা

ফসলী জমিতে বোরো আবাদ করছেন কৃষকরা। ছবি : কালবেলা
ফসলী জমিতে বোরো আবাদ করছেন কৃষকরা। ছবি : কালবেলা

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে হাওরগুলোতে পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো ধান আবাদ। তীব্র শীত উপেক্ষা করে বাড়ছে কৃষকদের কর্মব্যস্ততা। জমি তৈরি, হালচাষ, বোরো ধানের চারা বীজতলা থেকে উঠানো শেষে এবার চারা রোপণে জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন হাওরাঞ্চলের কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো আবাদে তেমন সমস্যা হবে না বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়নে ১৪ হাজার ৬২৩ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি জমিতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার ঘাাগানি, গুইয়ারবন্দ, কালিনজুড়া, শেখেরচর, নোয়াবন্দসহ বেশ কয়েকটি হাওর ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ফসলি জমিতে কেউ কেউ ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করছেন, কেউ কেউ স্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন, আবার কেউ বা ধানের চারা বীজতলা থেকে উঠাচ্ছেন আবার কেউ জমিতে চারা রোপণ করেছেন। স্থানীয় কৃষক আমিনুল মিয়া জানান, তিনি দুই একর জমিতে চারা রোপণ করেছেন। প্রতি একর (৯৮ শতাংশ) জমিতে চারা রোপণের জন্য ৩ হাজার ২০০ টাকা দিয়েছেন। নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়েই ধানের চারা বীজতলা থেকে উঠিয়েছেন। এখন নিজেরাই বাকি কাজ করছেন। ডিজেল ও সারের দাম বৃদ্ধির কারণে দুবছর ধরে বোরো আবাদে খরছ বেশি হচ্ছে বলে জানান তিনি। কৃষক সমর আলী মিয়া জানান, দুই একর জমিতে চারা রোপণ করেছেন তিনি। বীজতলা থেকে চারা উঠানো ও হালচাষ ও চারা রোপণসহ প্রতি একরে খরছ হয়েছে ৯ হাজার টাকা। তাছাড়া জমির বর্গা, ডিজেল ও সারের মূল্য বৃদ্ধিতে বোরো আবাদে খরচ বেড়েছে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে ফসল কেটে লাভবান হবে বলে আশাবাদী তিনি।

সদর ইউনিয়নের নোয়ানগর গ্রামের কৃষক সুজিত দাস ও হরিদাস বলেন, আমরা পাঁচজন করে দলবদ্ধ হয়ে চারা রোপণ করি। দিনে দেড় একরেরও বেশি জমিতে চারা রেপণ করা যায়। দৈনিক জনপ্রতি আমরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার মতো ইনকাম করতে পারি। আবার অনেক দিন কাজ থাকেও না। সর্বশেষ মৌসুমে ধানের ফলন ও দাম ভালো থাকায় কৃষকরা বেশ লাভের মুখ দেখেছেন, সেজন্য এবার বোরো ধানের চাষাবাদ বেশি হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফে আল মঈজ কালবেলাকে বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৪ হাজার ৬২৩ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭ হাজারেরও বেশি হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ শেষ হয়েছে। কৃষকদের আমরা বীজতলা রক্ষা, রোপণকৃত জমির পরিচর্যাসহ সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঘুষ কেলেঙ্কারিতে পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

প্রবীণদের বিশেষ যত্ন নিয়ে বার্ধক্যের প্রস্তুতি নিন: স্বাস্থ্য সচিব

বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত: রাষ্ট্রদূত আনসারী

লা লিগার কাছে যে অনুরোধ করতে চায় বার্সা

‘নির্বাচনে আমলাদেরকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে’

সাবেক এডিসি শচীন মৌলিক কারাগারে

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন শনিবার, যেসব বিষয়ে আলোচনা

সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের শানে রিসালাত সম্মেলন

শেষ দিনেও ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত দেয়নি ৭ রাজনৈতিক দল

ইউরোপের লিগগুলোতে দল কমানোর প্রস্তাব ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির

১০

নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা

১১

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে মৃত্যুর মিছিল, তিন বছরে প্রাণ হারান ১৮৩ জন

১২

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি 

১৩

সুদ দিতে না পারায় বসতঘরে তালা, বারান্দায় রিকশাচালকের পরিবার

১৪

দেশ বাঁচাতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে : চরমোনাই পীর

১৫

এএসপির বাসায় চাঁদাবাজি-ভাঙচুর, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৬

জেলের জালে বড় ইলিশ, ৯ হাজারে বিক্রি 

১৭

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১৮

আগামী সংসদ প্রথম তিন মাস ‘সংবিধান সংস্কার সভা’ হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব

১৯

ধরলার তীব্র ভাঙন, টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি

২০
X