কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ব্যক্তি উদ্যোগে করা বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে খতমে কোরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং জুমার নামাজের পর বিশেষ দোয়ার মধ্য দিয়ে কমপ্লেক্সটি উদ্বোধন করেন কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল আহমেদ এ কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করেন। বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ট কর্মী হিসেবে নিজের জন্মভূমিতে পৈতৃক সম্পত্তিতে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সটি গড়ে তুলেন।
কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে মসজিদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার নামে হেফজ খানা, শেখ হাসিনা বালিকা মাদ্রাসা, শেখ রাসেল বালক মাদ্রাসা, স্কুল, পুকুর ঘাট, ঈদগাহ ময়দানের মেহেরাব, জানাজার মুর্দার ঘর, আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের রান্না ও খাবাঘর, বৈঠক খানা এবং কবরস্থান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল আহমেদ বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ট কর্মী ছিলাম। মাধ্যমিক স্কুলে পড়াকালীন থেকে ধুরুং হাই স্কুলের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত জিএস, নাজির হাট কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগের এজিএস এবং সাতকানিয়া কলেজ ছাত্রলীগের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত জিএস হই। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলাম। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনগণকে সংগঠিত অপরাধে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার আমার বিরুদ্ধে দেওয়া হয় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, আলবদর শামস, রাজাকারদের সহযোগিতায় তারা আমার বাড়িতে আগুন এবং লুটপাট করা হয় তৎকালীন প্রায় ৫ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, এত নিপীড়নের পরও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ থকে কেউ আমাকে বিচ্চুত করতে পারেনি। যে পরিবারটি স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে গিয়ে নিজেদের নিঃশেষ করেছে, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও নিজস্ব দায়বদ্ধতা থেকে নিজ অর্থায়নে এসব প্রতিষ্ঠান গড়েছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর, সাধারণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ তাহের, কুতুবদিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা।
মন্তব্য করুন