লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় হত্যাকাণ্ডের শিকার ভ্যানচালক মানিকুল ইসলামের দেহের পর এবার মাথা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার ছুরিও পাওয়া গেছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ওই উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালালপাড়া থেকে এসব উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করতে পুলিশের পাশাপাশি সিআইডিও তদন্ত করছে।
এর আগে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে একই ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ থেকে মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সেটি মানিকুল ইসলামের বলে শনাক্ত হয়। তিনি ওই উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে সিঙ্গিমারী গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে বাবুলের একটি ভ্যান চুরি হয়। ওই চুরি ঘটনায় মানিকুল ইসলামকে সন্দেহ করে বাবুলের পরিবারের লোকজন। এ ঘটনার পর থেকে মানিকুল নিখোঁজ হন। শুক্রবার বিকেলে ভুট্টাক্ষেতে তার মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে শনিবার সকালে দালালপাড়া এলাকায় একটি বাঁশঝাড়ে ছুরি, মোবাইল ফোন ও গর্ত দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে গর্ত থেকে মাথা উদ্ধার করে।
মনিকুলের স্ত্রী শাকিলা আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে ফোনে তার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়। তার স্বামী তাকে জানান, রাত ৮টার মধ্যে বাড়ি এসে কাপড় নিয়ে ঢাকা চলে যাবেন। মোবাইল ফোন পাশে রাখতে বলেন। তিনি বাড়ি আসবেন এটা কাউকে বলার দরকার নেই। কিন্তু রাত ৮ টার পর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।
হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মানিকুলের মা বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন