দেশের যে কয়েকটি জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে, তার মধ্যে অন্যতম মেহেরপুর। এ জেলায় মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কুয়াশার প্রকোপ কিছুটা কমলেও উত্তরের হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতাকে আরও অসহনীয় করে তুলছে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার বাসিন্দাদের জনজীবন। কনকনে ঠান্ডায় মেহেরপুর জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর চাপ।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন, আজ সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। পরে সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরও কমে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস থেকে প্রাপ্ত আগাম তথ্যে ইতোপূর্বে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলো ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা বেশি বিপাকে পড়েছেন। যেন শীতের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলতে হচ্ছে তাদের।
দিনমজুর সুমন আলী বলেন, তীব্র শীতের কারণে এখন কাজ নেই বললেই চলে। কাজের সন্ধানে প্রতিদিন সকালে এসে দাঁড়িয়ে থাকি। আজকেও ভোর ৫টা থেকে ৯টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে কোনো কাজই পাইনি।
মেহেরপুর পৌর এলাকার রিকশাচালক মনিরুল বলেন, ঠান্ডা-কুয়াশা-বাতাসে আমরা নাকাল হয়ে পড়ছি। বেশিক্ষণ রিকশা চালাতেও পারছি না। যাত্রী অনেক কম, এ জন্য আয়-রোজগারও কমে গেছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের কৃষক লাল মিয়া বলেন, শীত ও কুয়াশার কারণে তার সরিষার আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলন আশানুরূপ হবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এ কৃষক।
মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মো. হাসিবুস সাত্তার বলেন, হাসপাতালে বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আগে শুধু শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত নানা রোগের উপসর্গ নিয়ে আসলেও এখন সকল বয়সের মানুষ শীতজনিত নানা রোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন