শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তীব্র শীতেও খোলা আকাশের নিচে শিশুদের পাঠদান

খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। ছবি : কালবেলা
খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। ছবি : কালবেলা

যমুনায় বিলীন হওয়ার তিন বছর পার হলেও নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়ায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান কার্যক্রম।

হাড়কাঁপানো প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হচ্ছে। এতে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগে। তবে এ অঞ্চলে ১০ ডিগ্রির নিচে তামপাত্রা নেমে আসায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ২২ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২১ সালে যমুনার ভয়াবহ ভাঙনে চৌহালী উপজেলার ভূতের মোড়ে অবস্থিত পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি নদীতে বিলীন হয়। এরপর থেকে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চরসলিমাবাদ দক্ষিণপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে টিনের ছাপড়া ঘর তুলে শুরু হয় পাঠদান কার্যক্রম। এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৪ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। উমারপুর ইউনিয়নের পয়লা চরে পাঁচটি কক্ষ বিশিষ্ট টিনের ঘরটি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। ৬ মাসের মধ্যে ওই ঘরটি নির্মাণের কথা থাকলেও গত দেড় বছরে তিন ভাগের এক ভাগ কাজও করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এদিকে ভাড়া নেওয়া ওই ছাপড়া ঘরটি ছেড়ে দিয়ে নির্মাণাধীন নতুন ভবনের পাশে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির। ফলে প্রচন্ড শীতের মধ্যে কষ্ট করে ক্লাস করতে হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন অভিভাবক বলেন, তীব্র শীতে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে বাচ্চাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। শিশুদের মধ্যে কেউ কেউ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেহেনা পারভিন জানান, নদীতে স্কুল বিলীনের পর থেকে টিনের ছাপড়া ঘর তুলে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। ঘর না থাকায় বই, হাজিরা খাতা, টেবিল, চেয়ার, ব্ল্যাকবোর্ড, গুরুত্বপূর্ণ ফাইলসহ আসবাবপত্র বাইরে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল হালিম জানান, ঠিকাদারের গাফলিতির জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে কষ্ট করে ক্লাস করতে হচ্ছে। ঘরের স্ট্রাকচার তৈরি করেই ঠিকাদার উধাও হয়েছে। এখনো ঘরের মূল কাজ বাকি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসকে টিম্বারের মালিক কোহিনূর জানান, একসঙ্গে দুটি স্কুলের কাজ করায় বেশি সময় লাগছে। আশা করছি, মার্চ মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, স্কুলটি নদীতে বিলীন হওয়ায় পয়লা চরে টিনের ছাপড়া ঘরে পাঠদান কার্যক্রম চলছে কিন্তু পাঠদানে কষ্ট হচ্ছে। সেখানে চর মডেলের একটি নতুন ঘর তৈরি হচ্ছে। ঠিকাদারকে তাগিদ দিচ্ছি দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করতে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভেড়ামারায় দুর্বৃত্তের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তুষার, সম্পাদক হাবীব

ভূমিকম্পে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৪১ জন আহত

ক্যারিয়ার শেষে কত উইকেট চান জানালেন তাইজুল

 ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে রাজউকের তাৎক্ষণিক পরিদর্শন

মেসিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যা বললেন ফ্লিক

গৌহাটি টেস্টের আগে ভারত শিবিরে দুঃসংবাদ

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না : শিবির সভাপতি

নাটকীয় জয়ের পরও নিজের ভুলে হতবাক আকবর

১০

স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান : প্রধান উপদেষ্টা

১১

নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ 

১২

ভূমিকম্পে ছেলের পর এবার চিকিৎসাধীন বাবার মৃত্যু

১৩

তারেক রহমানের জন্মদিনে ৫ হাজার মানুষকে উপহার দিলেন যুবদল নেতা

১৪

জামায়াতের নাড়িপোতা পাকিস্তানে : মাহমুদ হাসান 

১৫

ঐক্যবদ্ধভাবে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান গণসংহতির

১৬

তারেক রহমান : ইতিহাসের অগ্নিপথ পেরিয়ে জাতির প্রত্যাশার শিখরে

১৭

ডাকসু নেত্রী রাফিয়ার বাড়িতে আগুন, গ্রেপ্তার ৪ 

১৮

শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ কর্মকর্তা

১৯

ডেজার আলোচনা সভা ও স্মরণিকা উন্মোচন

২০
X