দীর্ঘ প্রায় তিন বছর পর কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতের বালুচরে পুঁতে রাখা মৃত তিমির কঙ্কাল উত্তোলন করা হয়েছে।
গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল থেকে সৈকতের বালু সরিয়ে তিমির কঙ্কাল উত্তোলন করা শুরু হয়। মূলত সংরক্ষণের জন্য এসব কঙ্কাল উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা।
পরে এই কঙ্কাল জাতীয় জাদুঘরে দর্শনার্থীদের প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ও কেমিক্যাল ওশানোগ্রাফি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. হাসিবুল ইসলাম।
তিনি বলেন, হয়তো এক সময় তিমির অস্থিত্ব হারিয়ে যাবে। বিষয়টি মাথায় রেখে আগামীর জন্য বিশাল আকৃতির মৃত তিমির হাড়গুলো সংরক্ষণের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। তবে কি কারণে সমুদ্রে তিমি কিংবা জেলি ফিশসহ অন্যান্য মাছের মৃত্যু হচ্ছে তা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। গবেষণা শেষ হলে মাছের মৃত্যুর কারণ হয়তো জানা যাবে।
জানা যায়, ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল বিশাল আকৃতির একটি তিমির মরদেহ হিমছড়ি সৈকতে ভেসে আসে। পরে সৈকতের বালুচরে গর্ত খুঁড়ে মৃত তিমির দেহ পুঁতে ফেলা হয়। প্রাণীটির দৈর্ঘ্য ৪৬ ফুট ও প্রস্থ ১৬ ফুট ছিল। ওজন ছিল প্রায় ৯ টন।
বাংলাদেশ সমুদ্র মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, পুঁতে ফেলা তিমির হাড় থেকে মাংস ঝরে গেছে। এখন কঙ্কাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। গত সোমবার বিকেলে বালুর নিচ থেকে তিমির শরীরের অনেক হাড়গোড় সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি কক্সবাজার সমুদ্র মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে নেওয়া হবে। সেখানে হাড় জোড়া দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কঙ্কাল তৈরি করে ঢাকার জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য স্থানান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন