নিজ প্রতিষ্ঠানের শিশু ছাত্রকে যৌন নির্যাতনে অভিযোগে সাইফুল ইসলাম (২৬) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদলত। আদালতে শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্ত সাইফুল।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে বিচারক মো. এমদাদের আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। চাটখিল থানার দায়িত্বরত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জালাল বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেন।
সাইফুল ইসলাম নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের ছেলে ও স্থানীয় আল ফারুক একাডেমি নামক একটি প্রাইভেট মাদ্রাসার চাটখিল শাখার আবাসিক শিক্ষক।
এর আগে অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে চাটখিল থানা পুলিশ। কম বয়সী আবাসিক ছাত্ররা গত কয়েক মাসে বিভিন্ন সময়ে এ শিক্ষকের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা।
এক শিক্ষার্থীর মা অভিযোগে বলেন, তিন মাস আগেও তিনি এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাডেমিতে এসে মৌখিকভাবে তার ছেলেকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন। কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এসব কিছু অভিভাবকদের না বলার জন্য শিক্ষার্থীদের অভিযুক্ত সেই শিক্ষক নানা রকম ভয় দেখাতেন বলেও তিনি জানান।
আরেক অভিভাবক জানান, একাডেমি থেকে ছুটি পেয়ে বৃহস্পতিবার আমার নিকটাত্মীয়ের ছেলে প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক হোস্টেল থেকে বাড়িতে যায়। বাড়িতে গিয়ে সে তার মায়ের কাছে শিক্ষকের নিকট বলাৎকারের শিকার হওয়ার বিষয়টি জানায়। পরে এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলার মোট চার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদ্রাসার পরিচালকের কাছে অভিযোগ দেন বলেও তিনি জানান।
আল ফারুক একাডেমির পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে অভিভাবকদের কাছ থেকে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তাদের আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেছি। আমাদের সাহাপুর শাখায় একজন শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারণে সেই অভিযুক্ত শিক্ষক গত এক সপ্তাহ যাবত সেখানে ক্লাস নিচ্ছিলেন।
চাটখিল থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের একজনের মা বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি।
মন্তব্য করুন