বিনামূল্যে বিতরণ করা পাঠ্যবই কেজিদরে বিক্রি করায় ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার এক প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি তারাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মু. আনোয়ার আযিম স্বাক্ষরিত এ নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশে উল্লখ করা হয়, বিনামূল্যে বিতরণকৃত সরকারি বই মজুদ না রেখে, কেন বিক্রি করা হলো তা তিন কার্যদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। তবে নোটিশ এখনো পাননি বলে জানিয়েছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলাম।
গত ১০ জানুয়ারি গোপনে বিক্রির জন্য পাঠানোর সময় মহল্লাদার মো. সোহেল মিয়া নামে এক ব্যক্তি স্থানীয়দের সহায়তায় সরকারি বইভর্তি একটি ট্রাক আটক করেন। উপজেলার মরিচবুনিয়া বাজারের উত্তর পাশের সড়ক থেকে ট্রাকটি আটক করা হয়। সেখান থেকে ২০২৩ সালের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ৪০০ কেজি বই উদ্ধার করা হয়েছে। গোপনে প্রধান শিক্ষক বই বিক্রি করতে পাঠাচ্ছিলেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। উদ্ধার করা বই প্রথমে পাটিখালঘাটা ইউনিয়ন পরিষদে জমা রাখা হয়। পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মু. আনোয়ার আযিম তার অফিসে বইগুলো নিয়ে যান।
ইউপি চেয়ারম্যান শিশির দাস জানান, মরিচবুনিয়া এলাকার মহল্লাদার মো. সোহেল স্থানীয় লোকজন নিয়ে সরকারি বইসহ একটি ট্রাক আটক করে তার পরিষদের নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এখানে এসে সেই বই তার অফিসে নিয়ে যান।
প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, কারণ দর্শানো নোটিশ এখনও হাতে পাইনি। পেলে জবাব দেওয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মু. আনোয়ার আযিম জানান, সরকারি বই বিক্রি করার কোনো বিধান নেই। কেন বিক্রি করেছে তার জন্য প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নেছার উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন