নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৪ ও ২৫নং ওয়ার্ডে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ২৫নং ওয়ার্ডের লক্ষণখোলা পাম্পটি এক সপ্তাহ ধরে এবং চৌরাপাড়া পাম্পটি দেড় বছর ধরে বিকল থাকায় তীব্র হয়েছে পানি সংকট।
দীর্ঘ সময়েও পাম্প দুটি সংস্কার বা মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে এলাকাবাসী জানান। আসন্ন রমজানের আগেই পাম্প সংস্কারের দাবি জানান এলাকাবাসী। অন্যথায় পানির দাবিতে মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়ক অবরোধসহ আন্দোলন কর্মসূচি গড়ে তুলবেন তারা।
পানি সরবরাহের দাবিতে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চৌরাপাড়া এলাকায় কলস নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
এ সময় শতাধিক নারী-পুরুষ সড়ক অবরোধ করেন। এরপর পাম্পটি মেরামতের চেষ্টা করে কৃর্তপক্ষ। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে এ পর্যন্ত পাম্পটি সচল করে তোলা সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিনেও পাম্পটি সচল করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। এ অবস্থায় পাশের মসজিদ থেকে শুধু খাবার পানিটুকু সংগ্রহ করছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানান, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ২৪নং ওয়ার্ডের চৌরাপাড়া পাম্পটি বিকল হয়। মেরামত না করায় পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। দেড় বছর ধরে এ পাম্পের লাইনে পানি পাচ্ছেন না বাসিন্দারা।
লক্ষণখোলা পাম্প থেকে লাইনে কিছু পানি এলে অল্পসংখ্যক মানুষ পানি সংগ্রহ করে রাখেন। সেই পাম্পটিও এক সপ্তাহ ধরে বিকল। ফলে পানি পাচ্ছেন না বেশিরভাগ মানুষ।
২৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কবির সোহেল জানান, বিভিন্ন সময় হঠাৎ করেই কোনো না কোনো পাম্প বিকল হয়ে পড়ছে। ফলে সারা বছরই পানি সংকট লেগে আছে ওয়ার্ডগুলোতে। পানি সংকট নিরসনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান ২০১৮ সালে ২৪ ও ২৫নং ওয়ার্ডে ৩টিসহ বন্দরে ১৭টি সাবমার্শিবল পাম্প স্থাপন করেন। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ওই পাম্পগুলো বর্তমানে বিকল হয়ে আছে।
এ ব্যাপারে চৌরাপাড়া পাম্প হাউসের অপারেটর আলামিন জানান, দেড় বছর আগে পাম্পটি নষ্ট হয়। বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু সমাধান হচ্ছে না।
পানি সরবরাহ কাজের দায়িত্বে থাকা নাসিকের প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লক্ষণখোলা পাম্পটি মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু চৌরাপাড়া পাম্পটি মেরামত করা যায়নি। এখানে নতুন পাম্প স্থাপন করতে হবে। নতুন পাম্প স্থাপন ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
মন্তব্য করুন