বরিশালের উজিরপুরে ভোটার হতে আসা এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাকে সহযোগিতার অভিযোগে আটক হয়েছেন আরও দুজন। বরিশালের উজিরপুরের সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদারের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন ও নাগরিকত্ব সনদে প্রত্যয়ন নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোটার হতে এসেছিলেন তারা।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ জানান, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রিভাইজিং অথরিটি শুনানিতে সকাল থেকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. অহেদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে ভারতীর নাগরিক সাবিত্রী বড়িয়া (২৯) উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের ভোটার হতে আসেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতলা গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভারতীয় ওই নারীর স্বামী পরিচয়দানকারী মো. এবাদুল হাওলাদার (২৬) এবং ভাসুর পরিচয়ধারী মো. এনামুল হাওলাদার (৩৩)।
নির্বাচন কর্মকর্তা আরও জানান, সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদারের স্বাক্ষরিত অনলাইন জন্মনিবন্ধন এবং সাতলা ইউনিয়নের নাগরিক মর্মে একটি প্রত্যায়ন, একাধিক কাগজপত্র পেয়েছি। তবুও বাচনভঙ্গি এবং তথ্য প্রদানে অসঙ্গতি দেখে বিষয়টি আমাদের সন্দেহ হয়। তখন থানা পুলিশকে জানালে তারা তিনজনকে আটক করে।
অভিযুক্ত সাবিত্রী বড়িয়া বলেন, আমি ভারতের উড়িষ্যা থেকে দুই মাস আগে বাংলাদেশে এসেছি। আমার সঙ্গে এবাদুল হাওলাদারের বিয়ে হয়েছে।
এবাদুল হাওলাদার বলেন, আমি কাজের জন্য সাত বছর আগে চোরাই পথে ভারতে যাই। ওই সময় সাবিত্রী বড়িয়ার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ভারতে থাকাকালীন আমাদের বিয়ে হয়। বাংলাদেশে নাগরিক হওয়ার জন্য চেয়ারম্যানের জন্ম নিবন্ধন প্রত্যয়ন ও ভোটারের অঙ্গীকারনামা নিয়ে আবেদন করেছি।
চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বলেন, আমার কাছে আবেদন করেছে। আমি আবেদনের ভিত্তিতে জন্ম নিবন্ধন, প্রত্যয়ন এবং ভোটার অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর দিয়েছি। সে ভারতের নাগরিক কি না আমার জানা নেই ।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি মো. জাফর আহম্মেদ জানান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অভিযোগের ভিক্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন