সিরাজগঞ্জে হাজারো দর্শকদের মন মাতালো ৫২ বছর ধরে চলে আসা ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। বাহারি নামের ঘোড়াগুলোর একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলার দৃশ্যটি ছিল উপভোগ্য। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ডুমুর গোলামী মাঠে এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অন্তত ২০ হাজারেরও বেশি দর্শক উপস্থিত হয়ে গ্রামীণ ঐতিহ্যের এ খেলাটি উপভোগ করেন।
প্রতিযোগিতা উপলক্ষে সাত দিন ধরেই ডুমুর গোলামী এলাকায় ছিল উৎসবের আমেজ। ঘোড় সওয়াররা ঘোড়া নিয়ে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে বেড়ায়। সওয়ারদের চাবুকের ঘা, ঘোড়ার চিহিহি শব্দের পাশাপাশি ঘোড়ার খুরের আওয়াজের তালে তালে দর্শকদের করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
সাত দিনব্যাপী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় বগুড়া, পাবনা, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার ছোট-বড় বাহারি রং ও নামের অন্তত ৭০টি ঘোড়া অংশগ্রহণ করে। ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার পাশাপাশি গ্রামীণ মেলাতেও ছিল মানুষের ভিড়।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমুর গোলামী গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। আয়োজকরা জানান, ১৯৭২ সাল থেকে প্রতি বছরই ডুমুর গোলামী মাঠে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সিরাজগঞ্জ ছাড়াও পাবনা, নাটোর, বগুড়া, দিনাজপুর, জামালপুর, রাজশাহী ও লালমনিরহাট থেকে ঘোড়া নিয়ে আসেন ঘোড় সওয়াররা। রাজাবাবু, মুছা বাবা, পাওয়ার হর্স, বাহাদুর, স্বপ্নের রানী, নাগরাজ, বাটুল, রাজাবাবু, দুলদুল টাইগারসহ বিভিন্ন নামের ঘোড়া নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন তারা।
সিরাজগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে আসা দর্শকরা বলেন, ঘোড়দৌড় একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতা। এটি উপভোগ করতে তারা প্রতি বছরই এখানে ছুটে আসেন।
মন্তব্য করুন