প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষের ওপর কোনো জুলুম করবেন না। ধর্মের দোহায় দিয়ে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও উসকানি বরদাস্ত করা হবে না।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কয়রা কালিবাড়ী মন্দির চত্বরে ২৪ প্রহরব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম নামযজ্ঞানুষ্ঠান ও অষ্টকালীন লীলা কীর্তনের শেষ দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন তিনি।
আব্দুর রহমান বলেন, সকলেই আমরা প্রতিপালকের সন্তুষ্টির জন্য আমরা যার যার ধর্ম বিশ্বাস থেকে তাকে স্মরণ করি। দেশের স্বাধীনতা দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকল মানুষের জন্য শান্তির জনপদ গড়েছিলেন। সবার উচিত প্রভু দয়াময়ের শ্রেষ্ঠ যে জীব সেই জীবের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। মহাপ্রভু সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের জন্য আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, মন্দিরে যখন উলুধ্বনি হয় তখন হিন্দু ভাইয়েরা মন্দিরে ছুটে যান। আবার যখন মসজিদ থেকে প্রাণের আলো ছড়ানো সুরধ্বনি আযান শোনা যায় তখন আমরা ছুটে যায় মসজিদে। আর এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্য।
নামযজ্ঞানুষ্ঠান ও অষ্টকালীন অনুষ্ঠানে মন্দির কমিটির সভাপতি সুবাস সাহার সভাপতিত্বে এবং মিন্টু দাসের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন, বোয়ালমারী পৌর মেয়র সেলিম রেজা লিপন, সাতৈর ইউপি চেয়ারম্যান রাফিউল আলম মিন্টু ও কাদিরদী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২২ ফেব্রুয়ারি সূর্যোদয় হতে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দের অষ্টকালীন লীলা কীর্তন। ২৩ ফেব্রুয়ারি শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর ভোগরাগ, আরতি কীর্তন ও মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি গঙ্গাস্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে। গঙ্গাস্নানে দেশ-বিদেশের কয়েক হাজার পুর্ণাথী অংশগ্রহণ করবে। এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি শ্রী মদ্ভাগবত পাঠের মধ্য দিয়ে মহানাম যজ্ঞের শুরু হয়।
মন্তব্য করুন