পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জাল দলিলের অভিযোগের বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়ায় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়েছেন সাব রেজিস্ট্রার নিশাদুর রহমান। এই সময় সাংবাদিকদের তথ্য দেওয়ার পরিবর্তে সাব রেজিস্ট্রার উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আপনাদের যা করার আছেন করেন। কোর্টে গিয়ে মামলা করতে বলেন। নোটিশ পেলে জবাব দিব।’
বিষয়টি নিয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা। ভুক্তভোগী চার সাংবাদিক হলেন, দৈনিক মানবজমিন ও সময়ের কণ্ঠস্বরের প্রতিনিধি নাজমুস সাকিব মুন, কালবেলার প্রতিবেদক সিরাতুল মোস্তাকিম, সাপ্তাহিক ফলোআপের রওশন জালালী ও আজকের বসুন্ধরার লালন সরকার।
উপস্থিত সাংবাদিকরা জানান, সম্প্রতি দেবীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দুটি জাল দলিল সম্পাদন হয় এবং প্রকৃত মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) খারিজ আবেদন বাতিল করে দেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সাংবাদিকরা সেই তথ্যটি যাচাইয়ের জন্য বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে যান। সেখানে সাব রেজিস্ট্রার নিশাদুর রহমানের নিকট এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি তাৎক্ষণিক সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপে যান। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই সময় নিশাদুর রহমানকে শান্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এরপরও তিনি রাগান্বিত হয়ে সাংবাদিকদের দলিল সার্চ দিতে দেখতে বলেন এবং এই বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দিতে পারবেন না বলে জানান। এই সময় তিনি উচ্চস্বরে বলেন, ‘আপনাদের যা করার আছে করেন। আপনাদের কথা আমি কোট করলাম। বিষয়টি আমিও দেখব।’
ভুক্তভোগীদের একজন নাজমুস সাকিব মুন বলেন, এমন গুরুতর অভিযোগ শোনার পর ওনার আরও আন্তরিক হওয়া উচিত ছিল। সেটা না করে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এতেই বুঝা যায় জাল দলিল সম্পাদনের যে অভিযোগ উঠেছে তাতে সাব রেজিস্ট্রারের গাফিলতি আছে। নয়তো এমন আচরণের কারণ কী! যদিও বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এই বিষয়ে জানতে সাব রেজিস্ট্রার নিশাদুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পঞ্চগড় জেলা রেজিস্ট্রার রেজাউল করিম বকশী বলেন, ঘটনা যেহেতু আমি জানি না তাই মন্তব্য করতে পারছি না। তবে এমন ঘটনা কাম্য নয়।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফুল আলম অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন