কাজী জাহিদুল আলম, সৈয়দপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৩, ০১:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সৈয়দপুরে ট্রেনের টিকিট যেন ‘সোনার হরিণ’

সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন। ছবি : সংগৃহীত
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন। ছবি : সংগৃহীত

ট্রেনযাত্রীদের অভিযোগ, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যাত্রীর নাম নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকিট কাটার নিয়ম চালু করেছে। কিন্তু ট্রেনের ভেতর এনআইডির সঙ্গে টিকিট মিলিয়ে দেখা হয় না। ফলে কালোবাজারিরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে টিকিট কালোবাজারি করছে। তারা স্টেশন কাউন্টার ও শহরের দোকান থেকে অনলাইনে আগাম টিকিট কেটে নেয়। এতে করে বেশির ভাগ প্রকৃত যাত্রীদের পক্ষে টিকিট সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। ফলে বাধ্য হয়ে কালোবাজারে চড়া দামে টিকিট কিনতে হয় ভুক্তভোগী যাত্রীদের।

রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর থেকে দিনে ও রাতে ঢাকাগামী নীলসাগর ও চিলাহাটি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস নামের দুটি ট্রেন চলাচল করে। সৈয়দপুরের জন্য আসন বরাদ্দ রয়েছে নীলসাগর এক্সপ্রেসে শোভনচেয়ার কোচ ৫৮, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ ১০ ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বার্থ (শয়নকক্ষে) দুটি এবং চিলাহাটি এক্সপ্রেসে শোভনচেয়ার ৩৬টি, এসি চেয়ারে ৩০টি ও স্লিপারে ৮টি; যা যাত্রীদের চাহিদার তুলনায় আসনসংখ্যা অপ্রতুল। আর এই আসন সংকটের সুযোগ গ্রহণ করছে কালোবাজারিরা। তারা আগেভাগেই অধিকাংশ টিকিট কেটে নেয়। ফলে প্রকৃত যাত্রীদের ভাগ্যে টিকিট জোটে না। টিকিট না পেয়ে কালোবাজারে টিকিট কিনতে হয় যাত্রীদের।

সরেজমিনে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, স্টেশন কাউন্টারে ট্রেনের টিকিটের জন্য ভিড় করছেন যাত্রীরা। কিন্তু টিকিট না মেলায় খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে তাদের। প্ল্যাটফর্মে জাভেদ হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, আমি ঢাকায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। ঢাকায় যেতে হবে বলে অনলাইন ও কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে ব্ল্যাকারের কাছ থেকে ৪৫০ টাকার শোভন টিকিট ১ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে।

কালোবাজারি ব্যবসায় জড়িত একটি সূত্র জানায়, আসনের তুলনায় ঢাকাগামী ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বেশি। এসব টিকিট আমরা অগ্রিম কেটে চড়া দামে বিক্রি করি। রেলওয়ের নতুন পদ্ধতিতে সরাসরি টিকিট কাটতে পারি না। আলাদা আলাদা পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। এ জন্য রিকশাচালক, হোটেল শ্রমিক ও হকারসহ শহরের অভাবী মানুষের এনআইডি দিয়ে টিকিট কাটা হয়। যার আইডি দিয়ে টিকিট কাটা হয় তাকে টিকিট প্রতি ১০০ টাকা দিতে হয়।

সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার ওবাইদুল ইসলাম রতন জানান, রেলওয়ে স্টেশন কাউন্টারে টিকিটের কোনো কালোবাজারি নেই। তবে শহরের দোকান থেকে অনলাইনে টিকিট কিনে বিক্রি করেন কেউ কেউ। এতে রেলওয়ে স্টেশন কর্মীদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বজ্রপাতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

দুই বাংলাদেশি যুবককে ফেরত দিল বিএসএফ

বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী জনগণের পাশে রয়েছে : নীরব

শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা আজ

ছক্কার ঝড় তুলে ম্যাচসেরা সাইফের মুখে আত্মবিশ্বাসের কথা

আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে তৃপ্ত জাকের

আবারও ভারতের কাছে কুপোকাত পাকিস্তান

সাবেক যুবদল নেতার উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার 

আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা

কাশিয়ানীতে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১০

দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চান মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীরা

১১

নির্বাচনের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি : লায়ন ফারুক 

১২

সাইফ ঝড়ে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

১৩

আফগানদের বিরুদ্ধে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

১৪

বৃষ্টিসহ আগামী ৫ দিনের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

১৫

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ও কার্টিন ইউনিভার্সিটির চুক্তি স্বাক্ষর

১৬

স্মার্ট কার্ডের সংকট কাটাতে আসছে ‘ব্ল্যাংক কার্ড’

১৭

সেই বিয়ের কথা স্বীকার করলেন পরীমনি

১৮

দুর্গোৎসবে টাইমস স্কয়ারে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের আবহ

১৯

‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ২০০৯’ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি

২০
X