চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ডুবে যাওয়া বালুভর্তি বাল্কহেডের নিখোঁজ এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। নিহত শ্রমিকের নাম নবীর হোসেন (১৭)। সে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার মো. ইব্রাহিমের ছেলে। নবীর লক্ষ্মীপুরের একটি মাদ্রাসায় আলিম শ্রেণির ছাত্র ছিল। অভিমান করে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আকিলপুর এলাকার সমুদ্র উপকূল থেকে নবীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বাবা ইব্রাহিম জানান, দুই মাস আগে আমার ছেলে অভিমান করে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এরপর সীতাকুণ্ডে একটি বালু বহনকারী বাল্কহেডে শ্রমিকের কাজ নেয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বালু বহনকারী বাল্কহেডটি সন্দ্বীপ চ্যানেলে বালু নিয়ে সন্দীপ যাওয়ার পথে ডুবে যায়।
তিনি বলেন, ‘পড়ালেখার জন্য অনেক সময় বকাঝকা করতাম। বাপজান চলে যাবে জানলে কখনো বকা দিতাম না।’
কুমিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, স্থানীয়রা উপকূলে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে আমাদের বিষয়টি জানান। পরে নৌপুলিশ ও গাউছিয়া কমিটি যৌথ সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করে।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, বাল্কহেডটি ডুবে গেলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিখোঁজসংক্রান্ত একটি জিডি করেন বাল্কহেডের মালিক সৈয়দ জুনাইদুল হক। ওই বালু বহনকারী বাল্কহেডে চারজন শ্রমিক ছিলেন। নিখোঁজ চারজনের মধ্যে একজন ছিলেন নবীর। এখনো তিনজন নিখোঁজ। নিখোঁজরা হলেন মান্নান, আবদুল হান্নান ও সোনা মিয়া। এই বিষয়ে থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন