শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক, পাবনা
প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিডিআর বিদ্রোহ : বিস্ফোরক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি

পাবনা জেলা প্রশাসকের নিকট প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন ভুক্তভোগীদের পরিবার। ছবি : কালবেলা
পাবনা জেলা প্রশাসকের নিকট প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন ভুক্তভোগীদের পরিবার। ছবি : কালবেলা

বিডিআর বিদ্রোহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া ৩টি মামলার দুটি নিষ্পত্তি হলেও বিস্ফোরক মামলাটি ১৫ বছরেও নিষ্পত্তি না হওয়ায় উদ্বিগ্নের মধ্য দিন পার করছে স্বজনরা। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করে তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসকের নিকট প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিডিআর হারুন অর রশিদের ভাই শফি আহমেদ, মোকারর হোসাইনের ভাই রফিকুল ইসলাম, রজব আলীর ছেলে শরিফুর রহমান।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদরদপ্তরের সংঘটিত ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়।

ইতোমধ্যে আমাদের স্বজনরা বিডিআর আইনের সাজা ভোগ শেষ করেছে। ফৌজদারি আইনে হত্যা মামলা হতে কেউ খালাস পেয়েছে, আবার অনেকে হত্যা মামলায় ফৌজদারি আইনে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা ভোগ শেষ করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, ১৫ বছর ধরে শুধু বিস্ফোরকদ্রব্য মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় এবং সাংবিধানিক অধিকার থাকা সত্ত্বেও জামিন না পাওয়া আমাদের স্বজনদের আমরা ফিরে পাচ্ছি না।

স্বরকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আমাদের এই অসহায় পরিবারগুলোর কারও উপার্জনক্ষম পিতা, কারও স্বামী, কারও সন্তান কারাগারে থাকায় আমরা মানবতার জীবনযাপন করছি। দীর্ঘ সময় কারাগারে থাকায় আমাদের স্বজনরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুশয্যায়। পিলখানার সংঘটিত ঘটনায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলাটি ইতোমধ্যে ১৫ বছর অতিবাহিত হয়েছে। হত্যা মামলার ২ বছর ১১ মাসে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে রায় প্রদান করা হয়। কিন্তু বিস্ফোরক মামলাটি আজ ১৫ বছর দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নাই। আমরা বারবার বিস্ফোরক মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আমরা নিম্ন আদালতে আবেদন করলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি মোকাররম হোসেনের ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলাটি উচ্চ আদালতে পরিচালনার জন্য আমরা আর্থিকভাবে অক্ষম। বিধায় পুরোপুরিভাবে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারছি না। এমনকি আর্থিক অভাব অনটনের কারণে আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারছি না। শুধু বিস্ফোরক মামলার কারণে ১৫ বছরের অধিক সময় ধরে আমাদের স্বজনরা কারাভোগ করছে। সাংবিধানিক অধিকার থাকা সত্ত্বেও জামিনে মুক্তি বা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে না। বিস্ফোরক মামলাটি অতি দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি।

পাবনা জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামান বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ মামলার ৩ জন আসামির স্বজনরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর আমার দপ্তরে লিখিত স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। আমরা ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধর্মগড় সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক চার বাংলাদেশি

হাসিনাকে ফেরত পাঠানো নিয়ে মোদিকে ওয়েইসির প্রশ্ন

জাকসুতে প্যানেল দ্বন্দ্ব, পদত্যাগ করে বাগছাস নেতার মিষ্টি বিতরণ

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যাত্রীসেবা আন্তর্জাতিক মানের করতে চাই : বেবিচক চেয়ারম্যান

‘আ. লীগ বিদ্যুৎ খাতে চুরির লাইসেন্স দিয়েছিল’

আ.লীগ নেত্রী রুনু গ্রেপ্তার

ইসির ইউটিউব চ্যানেল চালু, মিলবে যেসব তথ্য

শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, গ্রেপ্তারের দাবি শিক্ষার্থী

চার বিভাগে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি, পাহাড়ধসের আশঙ্কা

ভোলায় পাঁচ দিন ২০ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

১০

থানা ব্যারাকে নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণ, তিনজন ক্লোজড

১১

পিআর পদ্ধতিতে সব ভোটারের মূল্যায়ন হয় : চরমোনাই পীর

১২

তিস্তায় কার্টুন বক্সে ভাসছিল নবজাতকের মরদেহ

১৩

দেশের উন্নয়নে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে : চসিক মেয়র

১৪

কৃষক দল সম্পাদক বাবুলের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল

১৫

চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সতর্কবার্তা / ‘সাংবাদিকরা চুপ থাকলে সমাজ অন্ধকারে ডুবে যাবে’

১৬

যেসব অনিয়মে বাতিল হবে এজেন্সির নিবন্ধন

১৭

অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে সিলেট জেলা পুলিশ অঙ্গীকারবদ্ধ : পুলিশ সুপার

১৮

বগুড়ায় সাহিত্য উৎসব শুক্রবার, অংশ নিবে দুই শতাধিক কবি

১৯

বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি রোধে নতুন নির্দেশনা

২০
X