দুই মাসের নিষোধাজ্ঞা শেষে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) থেকে কাঁকড়া আহরণের অনুমতিপত্র দিতে শুরু করে বন বিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই অফিসের এসও মো. আনিস জানান, আহরণ শুরু হওয়ার প্রথম দিনে (শুক্রবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯টি পাস দেওয়া হয়েছে চাঁদপাই অফিস থেকে। প্রতিটি পাসে ১টি নৌকা আর ২ থেকে ৩ জন জেলে থাকতে পারবে।
এর আগে কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম ঘিরে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাস কাঁকড়া আহরণ বন্ধ ছিল। তাই নিষেধাজ্ঞা শেষে উপকূলের জেলেরা আবারও কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে নৌকা নিয়ে নেমেছেন। যারা বন বিভাগ থেকে অনুমতিপত্র পেয়েছে তারা আজ শুক্রবার থেকে কাঁকড়া ধরতে বনের নদী খালে ঢুকে পড়েছে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার, যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ। জলভাগে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫০টি নদ-নদী ও খাল আছে। এসব খালে ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দুই মাস কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৫৯ দিনের জন্য জেলেদের সুন্দরবনে প্রবেশ করে কাঁকড়া ধরার অনুমতি বন্ধ রাখে বন বিভাগ।
মন্তব্য করুন