প্রেম মানে না কোনো বাধা। পরোয়াও করতে চায় না ভৌগোলিক, ধর্মীয় ও প্রথাগত সংস্কৃতির গণ্ডিকেও। তাই তো শত কিলোমিটার দূর থেকে প্রেমের টানে প্রেমিককে বিয়ে করতে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন ফিলিপাইনের তরুণী।
সোমবার (৪ মার্চ) ফিলিপাইনের এ তরুণী প্রেমের টানে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ১নং ধর্মঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে আসেন।
ফিলিপাইনের তরুণী জুবেলিন কাতারে চাকরি করেন। সেখানে মাধবপুরের গোবিন্দপুর গ্রামের প্রবাসী আশিকুর রহমান মিশুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাই তো বিয়ের উদ্দেশ্যে সরাসরি প্রেমিক আশিকুরের বাড়িতে চলে আসেন। পরে ধর্ম পরিবর্তন অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে নিজের জন্মভূমি ও জুবেলিন নাম পরিবর্তন করে জান্নাত রহমান রাখেন। পরে ইসলামী শরীয়াহ্ মোতাবেক বিয়ে করেন প্রেমিক আশিকুরকে।
আশিকুর রহমান মিশু মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর কামারহাটি গ্রামের শিক্ষক লুৎফুর রহমানের ছেলে। তিনি কাতার প্রবাসী। কাতারে চাকরির সুবাদে প্রায় ৪ বছর আগে পরিচয় হয় জুবেলিনের সঙ্গে। এরপর তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি মিশু বাড়ি ফিরে আসলে, খবর পেয়ে ওই তরুণী প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে আসেন।
মাধবপুরের ছেলের সঙ্গে ভিনদেশি মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় এলাকাজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশি তরুণীকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ভিড় করছে।
ওই এলাকার মুরব্বি আমিনুল ইসলাম বলেন, অন্যসব বিয়ের চেয়ে এটি ছিল ভিন্ন একটি বিয়ে। বিদেশি নববধূকে দেখতে মানুষের ভিড় লেগেই আছে। পরিবার বলছে, ছেলের সুখে আমরাও সুখি। ভিনদেশি মেয়ে আমাদের ছেলেকে ভালোবেসে হাজার মাইল দূর থেকে এসেছে। পুরোপুরি মর্যাদা দিয়েই আমরা তাকে রাখব।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান, ফিলিপাইনের তরুণীর বিয়ের বিষয়টি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। অনেক মানুষ এদের দেখতে ভিড় জমাচ্ছে। ওই দম্পতিকে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে একটি সংবর্ধনা দেওয়ারও চিন্তা করছি।
মন্তব্য করুন