সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাকে হত্যার ঘটনায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড

ডিবির কাছে আটককৃত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাহিদ ইমরান নিয়ন। ছবি : কালবেলা
ডিবির কাছে আটককৃত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাহিদ ইমরান নিয়ন। ছবি : কালবেলা

ঘুমন্ত অবস্থায় মাকে জবাই করে হত্যার দায়ে ছেলে নাহিদ ইমরান নিয়নকে (৩৯) মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১০ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা আসামির উপস্থিততে এ আদেশ দেন। নাহিদ ইমরান নিয়ন সদর উপজেলার খোর্দ্দ শিয়ালকোল গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা তোজাম্মেল হকের ছেলে।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জেবুন্নেসা ওরফে জেবা রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলা ও ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মুজিব সড়কের কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পাশে নিজ বাসা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোজাম্মেল হকের স্ত্রী সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শিকা রশিদা খানমের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে নাছিম ইমরান নিশাত বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণে, তিনি উল্লেখ করেন ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে তার বড় ভাই নাহিদ ইমরান নিয়নকে চাদর গায়ে দিয়ে বাড়ির বাইরে বের হয়ে যেতে দেখেন ভাবি পিংকি খাতুন। পরে পিংকি খাতুন এসে শাশুড়ি রশিদা খানমকে কয়েকবার ডেকে সাড়া না পেয়ে ঘরে গিয়ে দেখেন তার গলাকাটা মরদেহ। পরে পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

মামলায় বাদী আরও উল্লেখ করেন, তিনি পরস্পর জানতে পারেন তার বড় ভাই নিয়ন জুয়া খেলায় জড়িত হয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এ কারণে তিনি তার মাকে হত্যা করতে পারে।

এ ঘটনায় পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে নাহিদ ইমরান নিয়ন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ঋণের কারণে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি তার মা রশিদা খানমের কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় মা-ছেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। একপর্যায়ে নিয়ন মাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে ঘুমন্ত অবস্থায় মাকে গরু জবাই করা ছুরি দিয়ে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যান।

ঘটনার পর দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামির উপস্থিতিতে আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজায় সেনা পাঠানো নিয়ে নতুন সংকটে পাকিস্তান

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ৬১ ক্রিকেট ব্যাট-বল বিতরণ

ভূমিকম্পে আহত হামীমের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন ডা. কাঁকন

৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

বিদেশিদের হাতে বন্দরের ব্যবস্থাপনা তুলে দেওয়া অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত : লায়ন ফারুক

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় / পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মেজর সিনহাকে

কর্মী নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর দিল সৌদি আরব

সোনালী ব্যাংকে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ দিয়ে প্রতারণা

১০

জাল টাকার নোটসহ আটক ২

১১

রাজশাহীতে ৬ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

১২

এসএ সিদ্দিক সাজুকে বিএনপির শোকজ

১৩

বিএনপি নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বিতা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ : সেলিমা রহমান

১৪

মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী গ্রেপ্তার

১৫

রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত : রিজভী

১৬

যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় হামলা, কমান্ডারকে নিহতের দাবি ইসরায়েলের

১৭

রাবির দুই শিক্ষককে বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি

১৮

এ দেশ সবার, কারো একার না : সালাউদ্দিন বাবু

১৯

‘স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় না গিয়ে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে ফিরে যান’

২০
X