কক্সবাজারের মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব পুইরছড়া খঞ্জনীর বাপেরঘোনা পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব।
শনিবার (১৬ মার্চ) ভোরে র্যাব-১৫ এর একটি ঠিম অভিযান চালিয়ে দুটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান, অস্ত্র তৈরির বিপুর সরঞ্জামসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। র্যাব-১৫ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কালারমার ছড়ার অফিস পাড়ার মৃত ফকির মোহাম্মদের পূত্র ফরিদ আলম (৫৫), ফরিদ আলমের পূত্র জিসাদ প্রকাশ সোনা মিয়া (২২) ও বাহিম (২০)।
সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানা হতে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের নিকট অস্ত্র সরবরাহ হয়ে আসছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাব-১৫ মহেশখালী হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব পুইরছড়াস্থ খঞ্জনির বাপের ঘোনা পাহাড়ি ঢাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। র্যাবের অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীরা দুর্গম পাহাড়ের এদিক-ওদিক দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় অবৈধ অস্ত্র তৈরি, কেনা-বেচার সাথে জড়িত চক্রের তিনজনকে র্যাব গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় এবং উক্ত অস্ত্র তৈরির কারখানার অন্যতম কারিগর বাদশা মিয়া কৌশলে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যায়। অস্ত্রের কারখানা হতে দুটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদির মধ্যে উল্লেখযোগ্য লোহার তৈরি ড্রিল মেশিন, হাতুড়ি, করাত, চারটি লোহার পাইপ, দুটি লোহার ব্যারেল, হেক্সো ব্লেড, দুটি লোহা কাটার ব্লেড, ৬০টি ওয়াশার, দুটি পাঞ্চিং রড, দুটি বড় নাট, রেঞ্চ, স্টিল সিড, তিনটি লোহার অংশ ও লোহার ব্রাশসহ অস্ত্র তৈরির আনুষাঙ্গিক ছোট-বড় ৫০টি অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী জানান- র্যাব-১৫ অস্ত্রসহ ৩ আসামিকে আটক করে থানায় সোপর্দ করলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন