ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় বৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়া গিয়ে বাংলাদেশি তিন শ্রমিক ওই দেশের জেলে ছয় মাস ধরে নির্যাতনের শিকার হয়ে গোপনে ভিডিও কলে বাচার আকুতি জানিয়েছেন। দূতাবাস কিংবা রিক্রুটিং এজেন্সির পক্ষ হতে পাচ্ছেন না কোনো আইনি সহযোগিতাও।
মালয়েশিয়ায় আটক ও নির্যাতনের শিকার তিনজন ভুক্তভোগীরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেলার বাসুদেব এলাকার আবু তাহেরের পুত্র মোহাম্মদ আকাশ (২১), কিশোরগঞ্জ জেলার গাছিহাটা উপজেলার কাটিয়াদী ইউপির পুরুরা গ্রামের রেনু মিয়ার পুত্র মিজানুর রহমান (২১) ও সুনামগঞ্জ জেলার ধলবাজার উপজেলার দিরাই ইউপির ভাটিধল গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র ফখরুল আহমেদ (২৪)। মালয়েশিয়া নির্যাতিত এই তিনজনের সাথে আরও একাধিক বাংলাদেশি নির্যাতিত বন্দী অবস্থায় আছে বলেও জানা গেছে। এরা মালয়েশিয়ার থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী তাংগাল এলাকার ইমিগ্রেশন জেলে আটক অবস্থায় রয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ঢাকার কাকরাইলের দিশারী ইন্টারন্যাশনাল নামের রিক্রুটিং এজেন্সির ব্যবস্থাপনার পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগী রুবেল মিয়া মাধ্যমে মালয়েশিয়া গিয়ে আটক হলেও তাদের মাধ্যমে উদ্ধারের কোনো সহযোগিতা মেলছে না উল্টো হয়রানি করছেন।
এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম ও রুবেল মিয়া ফোন দেওয়া হলে তারা এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
মালয়েশিয়ায় নির্যাতিত ও আটক শ্রমিকদের মা-বাবা ও স্বজনরা কেঁদে কেঁদে কবে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরবে সেই দিন গুণছেন।
বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স থাকা সত্ত্বেও ইমিগ্রেশন জেলে আটক নির্যাতিত ওইসব শ্রমিকদের উদ্ধারে ও বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ হতে আইনি কোনো সহায়তায় না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকার সচেতন মহল।
এদিকে মালয়েশিয়ায় আটক তিন শ্রমিকের উদ্ধারের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীদের পরিবার।
প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আনার্স বোর্ডের উপসহকারী পরিচালক মালিকা বেগম জানান, এই ধরনের ঘটনায় আমরা সেই দেশের দূতাবাসে চিঠি পাঠিয়ে দেই এবং তারা উদ্ধারের কার্যক্রম করে থাকেন। তবে এই বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখবো।
মন্তব্য করুন