চট্টগ্রামের চাঁদগাঁওয়ের বাহির সিগন্যাল এলাকায় গত ৭ মার্চ মধ্যরাতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের নজির হোসেন (৩৫)-সহ জেলার বিভিন্ন স্থানের চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন নজির হোসেন। মৃত নজির হোসেন আজমিরীগঞ্জ পৌরশহরের শরীফ নগরের মৃত লালমণ মিয়ার চেলে। এ ছাড়া একই হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন নজির হোসেনের স্ত্রী দিপালী আক্তার।
এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) একই ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার রামপুরের ফজলুর রহমানের ছেলে লিমন (১৮) হবিগঞ্জের উমেদনগর এলাকার সামছুউদ্দিনের ছেলে হোসাইন (৬) মৃত্যু বরণ করেন। এ ছাড়া নবীগঞ্জের রামপুরের আব্দুল জব্বারের ছেলে রাসেল (১০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৩ মার্চ) মৃত্যুবরণ করেন।
নজির হোসেনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে নজির হোসেন পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামের চাঁন্দগাঁওয়ের বাইর সিগনাল এলাকার টেকবাজারের উসমান গণি ভবনের তৃতীয় তলায় থাকতেন। বৃহস্পতিবার(৭ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে গ্যাস লিকেজ থেকে ভবনটি বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কালুর ঘাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের সহায়তায় রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দগ্ধ হন নজির হোসেন (৩৫) তার স্ত্রী দিপালী আক্তারসহ ১১ জন।
ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় রাতেই তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনরা। পর দিন তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে নজির হোসেন মৃত্যুবরণ করেন।
নজিরের বড়ভাই নওশের মিয়া জানান, শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে খবর পেয়ে ঢাকা যাই। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে নজির হোসেন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
শুক্রবার রাত ১১টায় নজির হোসেনের মরদেহ আজমিরীগঞ্জে নিয়ে আসা হয়। একইদিন রাত সাড়ে ১১টায় পৌরসভার শরীফ নগর শাহি ঈদগাহ ময়দানে জানাজার নামাজ শেষে শরিফনগর জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
মন্তব্য করুন