বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

স্থানীয় বাজারে কেন তরমুজ বিক্রি করছেন না চাষিরা

বরগুনার বাজারে দেখা মিলছে না তরমুজের। ছবি : কালবেলা
বরগুনার বাজারে দেখা মিলছে না তরমুজের। ছবি : কালবেলা

সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতের তরমুজ উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে প্রসিদ্ধ বরগুনা। অথচ এ জেলা সদরের বাজারগুলোতে সহজে দেখা মিলেছে ফলটির। জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে আগাম চাষ করা তরমুজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হচ্ছে। বেশি দামের আশায় কৃষকরা এ কাজ করছেন।

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বরগুনার পৌর ফলবাজার, ফুলঝুড়ি বাজার, গৌরিচন্না বাজারসহ আশপাশের বাজারগুলোর আড়ৎ ও খুচরা দোকানে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বাজারগুলোতে তরমুজ কেনাবেচা নেই বললেই চলে। এর কারণ হিসেবে অসাধু পাইকারদের দোষারোপ করেছেন স্থানীয় আড়ৎদার, খুচরা ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা।

রোজা রেখে ইফতারের জন্য পৌর ফলবাজার ও সবজিবাজার ঘুরে জুলহাস আহমেদসহ কয়েকজন ক্রেতা তরমুজ পাননি। তাদের সঙ্গে কালবেলার কথা হলে তারা জানান, দেশের যে কয়টি জেলায় তরমুজ উৎপাদন হয় তার মধ্যে বরগুনা জেলা অন্যতম। আরও ১৫ দিন আগে থেকে সদর উপজেলার মাঝের চরসহ তালতলী উপজেলার বিভিন্ন চর এলাকার উৎপাদিত তরমুজ বাজারজাত করা হচ্ছে। অথচ বরগুনার বাজারে আজকে কোনো তরমুজ নেই।

তারা আরও জানান, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে পাইকাররা ক্ষেত হিসেবে তরমুজ কিনে নিচ্ছেন। তারা অধিক মুনফার লোভে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাজারগুলোতে কেজি হিসেবে বিক্রি করেন এসব।

এদিকে বরগুনার বাজারগুলোতে কিছু দিন আগে অল্প পরিমাণে তরমুজের দেখা মিললেও তা ৬০-৭০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হয়। যা মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।

সেলিম নামের এক খুচরা তরমুজ বিক্রেতা বলেন, ‘মুনাফালোভী কিছু পাইকার ক্ষেত থেকে তরমুজ সংগ্রহ করে অন্যান্য জেলায় মণ হিসেবে বেশি দরে বিক্রি করেন। আমাদের মণ হিসেবে কিনে কেজি দরে বিক্রি করতে বিবেকে বাঁধে। তাই তরমুজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।’

মাহাবুব নামের এক আড়ৎদার কালবেলাকে বলেন, ‘কিছু অসাধু পাইকারদের কারণে আমরা আড়ৎগুলোতে তরমুজ পাই না। যা পাই সেগুলো উচ্চমূল্যে কিনতে হয়। বেশি দামে যে কিনব এখন তাও পাচ্ছি না। তরমুজ পাওয়ার জন্য আমরা পাইকারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে যাচ্ছি।’

বরগুনা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি তারিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘বছরের বেশির ভাগ সময় অন্যান্য ফলের চাহিদা থাকলেও গরমে বিশেষ করে রমজান মাসে তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকে। এ সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ও অতি মুনফালোভী পাইকার বরগুনায় উৎপাদিত আগাম তরমুজ ক্ষেত হিসেবে কিনে উচ্চমূল্যে কেজি হিসেবে বিক্রি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া বরগুনার বাজারগুলোতে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি থাকায় এখানে উচ্চমূল্যে তরমুজ বিক্রি করতে না পারার কারণে রাজধানীসহ অন্যান্য জেলায় বিক্রি করেন তারা। স্থানীয় মানুষ বর্তমানে নিজেদের জেলায় উৎপাদিত তরমুজ কিনেও খেতে পারছে না। এটা আসলেই দুঃখজনক।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মতবিনিময় সভায় যুব নেতারা / জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে 

দুর্গাপূজা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে উদ্বেগ ঐক্য পরিষদের 

মিয়ানমারে বৌদ্ধদের উৎসবে জান্তার বিমান হামলায় নিহত ৪০

আ.লীগের কর্মী-সমর্থকদের জন্য কেঁদে কেঁদে দোয়া করলেন হাদি

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে ভুল উদ্ধৃতি সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

১০

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১১

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

১২

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

১৩

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

১৪

অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, রংপুর-গাইবান্ধায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু

১৫

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা / জানলে যে সব বলে দিতে হবে সেটা তো না

১৬

শেখ হাসিনা ও কামালের নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে যা জানা গেল

১৭

ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে চাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী

১৮

খুন করে আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়ে ক্ষমা চান হত্যাকারীরা

১৯

ইংলিশদের বিপক্ষে মারুফাদের লড়াই করে হার

২০
X